গোপালগঞ্জে ১০ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে স্বপ্ন ভেঙে গেছে দুই বন্ধুর। অনেক স্বপ্ন ছিল তাদের মুরগির খামা’র ও মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার। পরিবার নিয়ে ভালো’ভাবে বাঁ’চার, সেসঙ্গে ছে’লে-মে’য়েদের লেখা-পাড়া শিখিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার।






গত শনিবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ সদর উপজে’লার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ১০ মিনিটের ঝড়ে তাদের সেই স্বপ্ন নিমিষেই ভেঙে চুরমা’র করে দিয়েছে। এখন তারা পুঁজি হারিয়ে অনেকটাই নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।






উপজে’লার সাহাপুর ইউপির বৈরাগীটোল গ্রামের হারাধন পোদ্দার ও কৌশিক বাইনের মৎস্য ও পোল্ট্রি খামা’রের ৬টি শেড ও ৬টি খাবার রাখার ঘর তছনছ হয়ে পাশের এলাকার ধানক্ষেতে উড়ে যায়। মা’রা যায় খামা’রের সাড়ে ১২ হাজার মুরগি। যেসব মুরগি পরদিনই বিক্রি করার কথা ছিল। সব মিলিয়ে খামা’রটিতে কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।






খামা’রি হারাধন পোদ্দার ও কৌশিক বাইন বলেন, আম’রা দু’জনে আমা’দের এলাকার বৈরাগীটোল গ্রামে ৩২ বিঘা জমি বছরে তিন লাখ টাকা চুক্তিতে লিজ নিয়ে প্রতিটি তিন লাখ টাকা ব্যয়ের ৮টি শেড ও প্রতিটি দেড় লাখ টাকা ব্যয়ে ৮টি খাবার রাখার ঘর তৈরি করে এখানে তিন বছর ধরে পোল্ট্রি ও মাছের ব্যবসা করে আসছি। অনেক আশা ও স্বপ্ন নিয়ে সাজিয়ে ছিলাম বিশাল এ খামা’র।






তারা বলেন, আমা’দের স্বপ্ন ছিল আম’রা স্বাবলম্বী হবো, পরিবার নিয়ে ভালো’ভাবে বাঁচবো ও ছে’লে-মে’য়েদের লেখা-পাড়া শিখিয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবো। কিন্তু গত শনিবার সন্ধ্যায় ১০ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে আমা’দের সে স্বপ্ন ভেঙে চুরমা’র হয়ে গেছে।






আম’রা ব্র্যাক ও অগ্রণী ব্যাংক থেকে অনেক টাকা ঋণ নিয়েছি, তা কিভাবে পরিশোধ করবো, এই খামা’র আবার কিভাবে দাঁড় করাবো এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। আম’রা সরকারের কাছে দাবি জানাই যাতে সরকার পোল্ট্রি শিল্প বাচাঁতে আমা’দের পাশে দাঁড়ায়।






গোপালগঞ্জ সদর উপজে’লা প্রা’ণিসম্পদ কর্মক’র্তা ডা. গোবিন্দ চন্দ্র সরদার বলেন, আমি সাহাপুর ইউপির বৈরাগীটোলের হারাধন পোদ্দার ও কৌশিক বাইনের খামা’রটি পরিদর্শন করেছি। খামা’রটির ৬টি শেড, খাবার রাখার ৬টি ঘর উড়ে গেছে, প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মুরগি মা’রা গেছে। তাদের অন্তত ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আম’রা বিষয়টি আমা’দের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। আম’রা ক্ষতিগ্রস্ত খামা’রিদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবো।






গোপালগঞ্জ সদরের ইউএনও মো. সাদিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। সদর উপজে’লা প্রা’ণি সম্পদ কর্মক’র্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে সচিত্র প্রতিবেদন দেয়ার জন্য। এরপর আম’রা ক্ষতিগ্রস্ত খামা’রটির ব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।