অর্থপাচার মা’মলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিস্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গ্রে’ফতার দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মহানগর হাকিম (সিএমএম) আ’দালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের গ্রে’ফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে পু’লিশের অ’প’রাধ ত’দন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাকে এ মা’মলায় গ্রে’ফতার দেখানোর আবেদন করে। আবেদনের পর আ’দালতে তাকে কারাগার থেকে আ’দালতে উপস্থিত করার জন্য নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার তার উপস্থিতিতে বিচারক শুনানি শেষে তাকে গ্রে’ফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা থা’নায় সম্রাটের বি’রুদ্ধে অর্থপাচারের অ’ভিযোগে মানি লন্ডারিং আইনে মা’মলা করে পু’লিশের অ’প’রাধ ত’দন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মা’মলায় সম্রাটের অন্যতম সহযোগী এনামুল হক আরমানকেও আ’সামি করা হয়।
মা’মলা সূত্রে জানা গেছে, সম্রাট ২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের আগস্ট পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে ৩৫ বার, মালয়েশিয়ায় তিনবার, দুবাই এবং হংকংয়ে একবার করে ভ্রমণ করেন। তার সহযোগী আরমানও একই সময়ে বেশ কয়েকবার এসব দেশে যাতায়াত করেন। যাতায়াতের মাধ্যমেই তারা বিদেশে ১৯৫ কোটি টাকা পাচার করেছেন। এই টাকা দিয়ে দেশগুলোতে তারা নামে-বেনামে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। যা ত’দন্তের মাধ্যমে বের করা হবে।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ক্যাসিনোবি’রোধী অ’ভিযান শুরু করে এলিট ফোর্স র্যা’ব। ক্যাসিনো ত’দন্তে নেমে ওই সময় যুবলীগ নেতা সম্রাটে সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত বছরের ৫ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে গ্রে’ফতার করা হয় আত্মগো’পনে থাকা সম্রাট’কে। তার সঙ্গে সহযোগী আরমানকেও আ’ট’ক করা হয়। ঢাকায় এনে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও করে র্যা’ব। পরে সম্রাটের কার্যালয় থেকে প্রা’ণীর চামড়া পাওয়ায় ৬ মাসের সাজা দেন র্যা’বের ভ্রাম্যমাণ আ’দালত।এছাড়া সম্রাট ও আরমানের বি’রুদ্ধে অ’স্ত্র ও মা’দক আইনে মা’মলা রয়েছে। তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।