করো’না ভা’ইরাসের জেরে দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার কারণে বহু মানুষ নিজেদের কাজ হারিয়েছেন। দারিদ্রসীমা’র নীচে এসেছেন অনেক মানুষ। রাজ্যের কর্মহারা ও বেকার যুবকদের জন্য রোজগারের পথ বাতলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারও তাদের সাহায্য করবে বলে আশ্বা’স দিলেন তিনি।
কর্মহীন মানুষদের শাড়ি ও মাছ বিক্রির ব্যবসা করার পরামর’্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরজন্য ঋণ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। এই ঋণের টাকা দিয়ে গাড়ি কিনে উক্ত সামগ্রীর ব্যবসা করতে পারেন মানুষ, এর ফলে রোজগারও বাড়বে। মুখ্যমন্ত্রী জানান,
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ব্যবসায় আগ্রহীদের ২ লক্ষ টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে, স’ঙ্গে একটা করে বাইক। এর দিয়েই ব্যবস্থা করে গ্রামে গ্রামে ঘুরে মাছ বা শাড়ি বিক্রির মতো ব্যবসা করে রোজগারের পথ বেছে নিতে পারেন সাধারণ মানুষ।
তাঁর কোথায়, “চোখে না দেখা গেলেও গত ১০ বছরে আমর’া ২৯ লক্ষ কর্মসংস্থান করেছি। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ক্ষেত্রে গত ১০ বছরে ২১ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে। হস্তশিল্পে ৩ লক্ষ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ কর্মসংস্থান করা হয়েছে”। হাওড়া ও ডুমুরজোলা থেকে প্রচুর কর্মসংস্থান হয়েছে বলে দাবী মুখ্যমন্ত্রীর।
এছাড়াও, আগামী ৩ বছরে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আরও ৩৫ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে, এমনটাই এদিনের আলোচনায় জে’লা’শাসক ও বিভাগীয় সচিবদের জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি আরও বলেন যে সিলিকন ভ্যালিতে যে জমি দেওয়া হচ্ছে, সেখানেও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। টিসিএস, ইনফোসিস-এর মতো সংস্থার মাধ্যমে সেখানে কর্মসংস্থানের আশ্বা’স দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জন্য তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এছাড়া, হস্তশিল্পের ক্ষেত্রেও আগামী ৩ বছরে ২ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। এই সংখ্যা পড়ে আরও বাড়ানো হবে বলে জানা গিয়েছে। সমস্ত ছোটো ও মাঝারি শিল্পকে একই ছাদের তলায় সেগু’লিকে একত্র করে কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে।