যদি এই খবর পড়ে আপনি আঁতকে ওঠেন, তা হলে এতটুকুও দোষ দেওয়া যাব’ে না! ব্যাপারটা নিঃসন্দে’হেই সব প্রশ্নের অতীত!
কথা হল, বাচ্চারা অনেক সময়েই অনেক কিছু মুখে পুরে দেয়! তা নিয়ে যেমন ভুগতে হয় তাদের, তার চেয়েও বেশি ভুগতে হয় মা-বাবাকে।
সৌভাগ্যের কথা, দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের গু’ইঝোই প্রদেশে যে ৫ বছরের খুদেটি ১২৩টি ম্যাগনেটিক বিডস বা পুঁতি টিভি দেতে দেখতে মুখে পুরে দিয়েছিল, সে সম্পূর্ণ সুস্থ আছে সার্জারির পরে। ভোগান্তি যা, তা কেবল হয়েছে বাড়ির লোকের!
জানা গিয়েছে, যে ঘটনার দিন ওই ছেলেটির মা-বাবা, মিস্টার অ্যান্ড মিসেস ইয়ু বাড়িতে ছিলেন না। তাঁরা দু’জনেই ছিলেন তাঁদের কর্মক্ষেত্রে ৷ বাড়িতে ছিল কেবল খুদে আর তার ১২ বছরের দিদি। দু’জনে মিলে টিভি দেখছিল। দিদি খেয়ালই করেনি যে ওই টিভি দেখার ফাঁ’কে ফাঁ’কে একটা-দু’টো করে পাক্কা ১২৩টা ম্যাগনেটিক বিডস মুখে পুরে দিয়েছে ভাই!
সে কেবল আচমকা আবি’ষ্কার করে যে ভাই শ্বা’সকষ্টে ছটফট করছে, তার গলায় একটা কিছু আট’কে আছে! উপস্থিত বু’দ্ধি কাজে লাগিয়ে সে ভাইকে জল খেতে দেয়। কাজ হয় তাতেই, গলায় আট’কে থাকা শেষ ম্যাগনেটিক বিড পেটে পেটে চলে যায়। সুস্থ হয়ে ছেলে আবার টিভি দেখতে থাকে দিদির স’ঙ্গে।
এর পর যখন সন্ধেবেলা শিশুটির বাবা-মা বাড়িতে ফেরেন, মেয়ে তাদের ঘটনার কথা জানায়। জেরার মুখে স্বীকার করে নেয় খুদে ম্যাগনেটিক বিড গিলে ফেলার কথা। তবে সে কেবল একটা বিড গেলার কথা কবুল করেছিল। এর পর স’ঙ্গে স’ঙ্গে শিশুটিকে স্থানীয় ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে যান মা-বাবা। ডাক্তার ওষুধপত্র দিয়ে বলেন যে বড় জোর স’প্ত াহখানেকের পেট থেকে বিড বেরিয়ে আসবে মলত্যাগের সময়ে।
কিন্তু এর পর যখন বাড়িতে ম্যাগনেটিক বিডসের একটাও খুঁজে পাওয়া যায়নি, তখন আত’ঙ্কে অস্থির হয়ে ছেলেকে নিয়ে হাসপাতা’লে ছুটে যান দম্পতি। সেখানে এক্স-রে করা হলে খুদের পেটের ভিতরে জমে থাকা ম্যাগনেটিক বিডগু’লোর খোঁজ মেলে। এর পর সার্জারির মাধ্যমে এক এক করে তা বের করা হয়।
তবে কাজটা মোটেও সহজ ছিল না! এই সার্জারি করতে সময় লেগেছে ৪ ঘণ্টা এবং করতে গিয়ে দু’টো ইক্যুইপমেন্ট ভেঙেও গিয়েছে বলে জানিয়েছেন গু’ইঝোউ হাসপাতা’লের ডাক্তার চেন ওয়ানওয়েই। পাশাপাশি এটাও জানাতে ভোলেননি যে একস’ঙ্গে এতগু’লো বিড গিলে ফেলার ঘটনা তিনি এই প্রথম দেখলেন তাঁর কেরিয়ারে!