অ’বৈধভাবে যেসব সরকারী বেসরকারী সম্পদ দ’খ’ল করে রেখেছেন হাজী সেলিম, তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, সংস্থা এবং ব্যক্তির কাছে বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। এজন্য হাজী সেলিম সময় পাবেন দুই সপ্তাহ। এর মধ্যে তিনি যদি অ’বৈধ স্থাপনা ও দ’খল না ছাড়েন, তাহলে তার বি’রু’দ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে এমনকি তাকে গ্রে’প্তারও করা হতে পারে।
সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এই বার্তা হাজী সেলিমের কাছে পৌছে দেয়া হয়েছে। গত ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিমের মেঝ ছে’লে ইরফান সেলিম একজন নৌ কর্মক’র্তাকে মা’রধ’র করেন। ২৬ অক্টোবর ইরফান সেলিমকে গ্রেপ্তা’র করে আই’নশৃং’খলা বাহিনী। এরপর থেকেই হাজী সেলিম পরিবারের স’ন্ত্রা’স, চাঁ’দাবা’জি এবং অবৈ’ধ দখ’লের কথা গুলো প্রকাশ্যে আসছে।
এতোদিন হাজী সেলিম এবং তার ছে’লেদের ভ’য়ে যারা মুখ খুলত না। এখন তারা প্রকাশ্যে অ’ভি’যোগ উ’ত্থা’পন করছে। ইতোমধ্যে অগ্রনী ব্যাংক, হাজী সেলিমের অ’বৈধ দখলে থাকা তাদের জমি উ’দ্ধা’র করেছে। নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও উপজে’লার মেঘনা ঘাট এলাকায় হাজী সেলিম ১১ বিঘা সরকারী জমি দখল করে ছিলেন।
এখন এই জমি উ’দ্ধারে কাজ করছে প্রশাসন। ঐ জমিতে হাজী সেলিমের সব স্থাপনা আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে ভে’ঙ্গে ফেলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস উ’দ্ধারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকারী সূত্রে জানা গেছে, মোট ৯টি দাগে হাজী সেলিম সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রায় ১০৮ বিঘা জমি জো’র করে দ’খল করে রেখেছেন।
এখন এই সব জমি উ’দ্ধারের আলিটিমেটাম দেয়া হয়েছে। শুধু সরকারের নয়, আইন শৃং’খ’লা বা’হিনীর কাছে এখন পর্যন্ত অন্তত এক ডজন অ’ভিযো’গ এসেছে হাজী সেলিমের বি’রু’দ্ধে। এর অধি’কাংশই জমি দ’খলের। তিনটি অ’ভিযো’গ এসেছে, জো’র করে দোকান দখ’লের। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, তারা এই অ’ভিযো’গ গুলো খতিয়ে দেখছে।
এদিকে ইরফান গ্রে’প্তার হবার পর প্রথম’দিকে হাজী সেলিমের লোকজন এলাকায় কিছুটা দা’প’ট দে’খা’নোর চেষ্টা করলেও পরে গু’টি’য়ে যায়। এখন হাজী সেলিমের লোকজনকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র গুলো বলছে, হাজী সেলিমের ব্যাপারে সরকার স্পষ্ট এবং নি’র্মোহ অবস্থানে যাচ্ছে। অ’পরা’ধ করলে হাজী সেলিমকে ছাড়া হবে না। এই মনোভাব এখন স্প’ষ্ট।