ক’মাস আগেও ইন’জুরি আর ফর্মহীনতায় নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন। কিন্তু, বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের পারফরম্যান্সে, আবারও এসেছেন নীতি নির্ধারকদের সুনজরে। সাকিব-মাশরাফীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই, মানসিকতা পরিবর্তনের চেষ্টা করেছেন তাসকিন আহমেদ।
লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন, ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিংয়ের। সেই লক্ষ্যে কোচদের পরাম’র্শে ট্রেইনিং-প্ল্যানও সাজিয়েছেন এই পেসার। তাসকিন আহমেদ বলেন, দু’টো আসর ভালো গেছে। তবে, ওগুলো এখন শেষ। ভালো স্মৃ’তি আছে। আর যা খা’রাপ গেছে, সেখান থেকে শিখতে পেরেছি।
ছোট্ট ক্যারিয়ারে উত্থান-পতন দু’টোই দেখেছেন তাসকিন আহমেদ। ১৯ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক অ’ভিষেকের পরই পেয়েছেন তারকাখ্যাতি। উচ্চতা-গতি সব মিলিয়ে টাইগার ক্রিকে’টের পেস আক্রমণের ফ্রন্টলাইনার ধ’রা হচ্ছিলো তাকে। কিন্তু, বল হাতে খরুচে তাসকিন দ্রুতই হারাতে থাকেন জায়গাটা।
বিপিএলে ভালো করলেও, ইন’জুরির কারণে ছিট’কে পড়েন। পুনর্বাসনে অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠা পেসার আশায় ছিলেন, ২০১৯ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা করে নেয়ার। কিন্তু, ইংল্যান্ডের ফ্লাইটে ওঠা হয়নি। বিশ্বকাপের দলে জায়গা না পেয়ে গণমাধ্যমের সামনে কেঁদেছিলেন। ভেঙে পড়েছিলেন।
তবে ফেরার আকুতি ছিল তীব্র। অনুপ্রেরণা খুঁজতে বেশিদূর যাননি। মাশরাফী-সাকিব-মুশফিকদের ক্যারিয়ার থেকেই নাকি দীক্ষা নিয়েছেন। তাসকিন আহমেদ বলেন, সিনিয়র ক্রিকেটারদেরও বাজে সময় গেছে। কিন্তু তাদের দেখেছি অনুশীলন প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে। তাদের দেখেই এটা শিখেছি, কিভাবে বাজে সময়ে প্রসেসটা ঠিক রাখা যায়।
করো’না মহামা’রিতে বিপন্ন জীবন। কিন্তু, একদিক থেকে চিন্তা করলে তাসকিনের জন্য এটা সুযোগই হয়ে এসেছে। করো’নার কারণে জাতীয় দলের সব খেলা স্থগিত হওয়াতেই তো বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ আয়োজন করলো। সেখানেই তো নতুন করে নিজেকে চেনালেন এই পেসার।
তাসকিন আহমেদ বলেন, লকডাউনের সময় দুই জন কোচ হেল্প করেছেন। খালেদ মাহমুদ সুজন স্যার আর মাহবুব আলি জাকি স্যার। ছোট ছোট টেকনিক্যাল চেইঞ্জগুলো আমা’র অনেক কাজে লেগেছে। মাঝে আমা’র পেস কমে গিয়েছিল। ধীরে ধীরে সেটা ঠিক হচ্ছে।
আমি সর্বোচ্চ ১৪৮ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করেছি। লক্ষ্য আছে, ক্যারিয়ারে একবার হলেও ১৫০ কিলোমিটার গতি তুলবো। সে অনুযায়ী আমি ট্রেইনিং প্ল্যান সাজিয়েছি। ব্যক্তিগত ট্রেইনার, মাইন্ড ট্রেইনার, পুষ্টিবিদ আর স্যাররা হেল্প করছেন। কোচ ওটিস গিবসনও দেখেছে। বলেছে, সব ঠিক আছে। তবে, পরিশ্রমটা যেন না কমাই।
দু’দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ আর প্রেসিডেন্টস কাপে টানা খেলার পর আপাতত আছেন ছুটিতে। নভেম্বরের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে মানসিকভাবে চাঙ্গা হয়ে ফিরতে চান তাসকিন।