দেশ থেকে পালানি। আ’ত্মগো’পনেও যাননি ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিম। গাড়ি হাঁ’কিয়ে দা’পিয়ে বে’ড়া’চ্ছেন পুরান ঢাকা। নৌ কর্মক’র্তাকে ছে’লে ইরফানের মা’রধ’রের ঘট’নার ৬ দিন পর ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ক্যামেরায় ধ’রা পড়’লেন তিনি।
নিজে কথা বলতে না পারলেও প্রতিনিধিদের দিয়ে নিজেকে নি’র্দোষ দাবি করেছেন। তিনি আরো বলেন, চাঁ’দাবা’জি ও জমি দখলের প্রমাণ দিতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। রাজধানীর ধানমন্ডিতে ২৫ অক্টোবর রাতে নৌ কর্মক’র্তাকে মা’রধ’র করেন হাজি সেলিমের ছে’লে ইরফান সেলিম।
এরপর থেকেই দেখা মিলছিল না এমপি হাজী সেলিমের। পরদিন পুরান ঢাকার বাসায় অ’ভিযান চালিয়ে ইরফানকে গ্রে’প্তারের সময়ও খোঁজ মেলেনি তার। এরপর জমি দখল, চাঁ’দাবা’জি, তুচ্ছ বিষয়ে এলাকাবাসীকে মা’রধ’রসহ নানা অ’ভিযো’গ একে একে আসতে থাকে তার বি’রু’দ্ধে।
তবে মুখ খুলছেন না কেউ। যার বি’রু’দ্ধে এত অ’ভিযো’গ, প্রশ্ন উঠে তিনি কোথায় আছেন। বিদেশ বা আ’ত্মগো’পনে যাওয়ার কথাও ভাসতে থাকে বাতাসে। হয়ে উঠেন ট’ক অব দ্য কান্ট্রি। তার সন্ধানে পুরান ঢাকায় গিয়ে জানা গেল, খানিক আগেই বাসা থেকে বেরিয়ে গেছেন তিনি।
পরে জানা যায় সোয়ারীঘাটে গেছেন তিনি। দীর্ঘ অ’পেক্ষার পর দেখা মিলল হাজী সেলিমের গাড়ি বহরের। তবে গণমাধ্যমের উপস্থিতি দেখে নিমিশেই উধাও হয়ে যান তিনি।
এর ঘণ্টা খানেক পর আবার পাওয়া গেল গাড়িবহর। এবার হাজী সেলিম গেছেন চকবাজার শাহী ম’সজিদে। জুম্মা’র নামাজ শেষে অবশেষে পাওয়া গেল তাকে। তারপরও ছিল গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে ছিল অনাগ্রহ।
তার বি’রুদ্ধে উঠা অ’ভিযো’গ নিয়ে জানতে চাইলে হাজী সেলিম নিজে কথা বলতে না পারায়, তার পক্ষে বক্তব্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামালউদ্দিন কাবুল জানান, হাজী সেলিম ও তার ছে’লের বি’রু’দ্ধে আসা সব অ’ভিযো’গ ভিত্তিহীন।
রেবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, হাজী সেলিমের পরিবারের বি’রু’দ্ধে তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট অ’ভি’যোগ আছে। ত’দন্তের পর জানানো হবে বিস্তারিত। এদিকে, হাজী সেলিম পরিবারের বি’রু’দ্ধে উঠা অ’ভিযো’গগুলো খতিয়ে দেখতে গোয়েন্দা পু’লিশের পাশাপাশি মাঠে নেমেছে দুদকও।