যশোরের ঝিকরগাছায় স্বামীকে মৃ’ত দেখিয়ে বিধবা ভাতার কার্ড দেয়া হয়েছে দুই গৃহবধূকে। স্থানীয়দের অ’ভিযোগ সংরক্ষিত ইউপি সদস্য এ কাজটি করেছেন। অবশ্য উপেজলা নির্বাহী কর্মক’র্তা জানিয়েছেন এমন ঘটনা ঘটলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্যমতে, ঝিকরগাছা সদর ইউনিয়নে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫৫ জনকে অ’তিরিক্ত বিধবা ভাতাভোগীর তালিকায় স্থান দেওয়া হয়। এতে লক্ষ্মীপুর গ্রামের মাঠপাড়ার বাসিন্দা কোহিনূর বেগমকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অথচ তার স্বামী বাদশা হোসেন ঢাকায় নরসুন্দরের কাজ করেন।
গত সপ্তাহ তিনি বাড়িতেও এসেছেন। এ ছাড়া মল্লিকপুর গ্রামের আনোয়ারা খাতুনের স্বামী আবু তা’লেবকেও মৃ’ত দেখিয়ে বিধবা কার্ড দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে তারা একবার ভাতার টাকাও পেয়েছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে কোহিনূর বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও তার ভাবি সালেহা খাতুন বলেন, ‘দুলাভাই ঢাকা থেকে এসেছে। বোন-দুলাভাই আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গেছেন। অ’পরদিকে আনোয়ারা বেগম অ’সুস্থতার কারণে অর্ধযুগ ধরে বিছানায় রয়েছেন এবং তার স্বামী সন্তানরাই তার দেখভাল করেন।’
আনোয়ারা বেগমের ছে’লে জালাল উদ্দীন জানান, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বয়স্ক ভাতা প্রদানের জন্য মাইকিং করা হয়েছিল। এরপর তিনি মাকে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে যান। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রের ত্রুটির কারণে বয়স্ক ভাতা হয়নি।
পরে পরিষদ থেকে ভাতার জন্য প্রতিব’ন্ধী সার্টিফিকেট আনতে পরাম’র্শ দেয়া হয়। কিন্ত তারা আর যোগাযোগ করেননি। এরপরও তাদের বিধবা ভাতার কার্ড দেয়া হয়েছে। সদর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য হীরা খাতুন কোহিনূরের স্বামীর জীবিত ও ঢাকায় বসবাসের কথা স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ওই নারীর মায়ের নামে বিধবা ভাতার কার্ড ছিল। মা ম’রে যাওয়ায় সেটি তার নামে করে দেয়া হয়েছে। আর আনোয়ারা বেগমের কার্ডটি ভুলবশত প্রদান করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমির হোসেন জানান, আনোয়ারা খাতুনের নামে বিধবা ভাতার যে কার্ড হয়েছে তা সমাজসেবা অফিস ভুল করে করেছে। এটা সংশোধনের জন্য অফিসকে বলা হয়েছে। তবে কোহিনূর বেগমের বিধবা কার্ড হওয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না বলে দাবি করেন। আগামী সভায় এ বিষয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।
এ বিষয় উপজে’লা সমাজসেবা কর্মক’র্তা এএফএম ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তালিকা পাঠানোর পর সময় না থাকায়, তা যাচাই-বাছাই করার সুযোগ হয়নি। উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তা আরাফাত রহমান জানান, কোনও অবস্থাতেই বিধবাকে বিধবা ভাতার কার্ড দেয়া যাবে না। কেউ দিলে তার বি’রুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।