বাংলা চলচ্চিত্রে জাতীয় পু’রস্কা’রপ্রাপ্ত দুই প্রবীণ মুখ প্রবীর মিত্র ও এটিএম শামসুজ্জামান। রুপালী পর্দায় দুজনেই দাপুটে অভিনয় চালিয়ে গে’ছেন পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে। বর্ষী’য়ান এই দুই অভিনেতার মাঝে ব’ন্ধুত্ব সেই ছাত্র’জীবন থেকেই। এরপর একসঙ্গে অভিনয় করেছেন বহু চলচ্চিত্রে।
বর্তমানে বয়সে’র ভারে নুয়ে পড়া এই দুই কিংবদ”ন্তির আর ছবি’পাড়ায় যাওয়া হয় না। দী’র্ঘদিন শা’রী’রিক জটিল’তা’য় ভোগার পর দুজ’নেই বেশ সুস্থ এখন। ফি’র’তে চাইছেন সি’নেমায়। জীবনের এই পড়ন্ত সময়ে দুজনেই জা’নালেন নিজেদের শে’ষ ই’চ্ছার কথা।
এ টি এম শামসুজ্জামানের স্ত্রী রুনি জামান বলেছেন- এ টি এম শা’মসুজ্জা’মানের সর্বশেষ ইচ্ছা, মনের মতো একটি গল্প লিখ’বেন। সেই গল্প দিয়ে নি’জেই নির্মা’ণ করবেন সিনেমা। ‘শিগ’গিরই তিনি চি’ত্রনা’ট্য লে’খার কা’জ শুরু করবেন।
তিনি আরো ‘জানান, বেশ কিছুদিন ধরে অভিনয় ক’রতে চা’চ্ছেন এটি’এম শামসুজ্জামান। কো’নো নি’র্মাতা যদি বাসা থেকে নিজ দায়িত্বে নিয়ে যান এবং যথেষ্ট নিরাপ’ত্তা নিশ্চিত করেন, তাহলে তিনি অভি’নয় করবেন।
এদিকে আর্থ্রা’ই’টিজে আক্রা’ন্ত প্রবীর মিত্র সম্প্রতি আ’ক্রান্ত হয়েছি’লে’ন ক’রো’নায়। বর্তমানে তিনি সুস্থই আছেন। এটিএম শামসু’জ্জা’মানের মতো তিনিও ফিরতে চান অভিনয়ে। ফের একবার ক্যামেরার সা’মনে দাঁ’ড়াতে চাওয়াই নাকি প্র’বীর মিত্রের শেষ ইচ্ছা।
এ বিষয়ে প্রবীর মিত্রের পুত্রবধূ সোনিয়া ইয়াসমিন বলেন, বাবা অভিনয়ের জন্য ছটফট করছেন। এখন একটু আধটু হাঁটতে পারেন। তবে বাইরে ঘুরাফেরার মতো পরিস্থিতি হয়নি। তাই যদি কোনো নির্মাতা চান, তাহলে আমা’দের বাসায় এসে স্বল্প পরি’সরে কাজ করতে পার’বেন। হয়তো বাবার অভি’নয়ের শেষ ইচ্ছাটা পূরণ হবে।’
পরিচা’লক এইচ আক’বরের ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভি’নয় করেন প্রবীর মিত্র। এরপর প্রায় ৪০০ চলচ্চিত্রে অভি’নয় করেছেন তিনি।
আর এ টি এম শামসুজ্জামান ১৯৬১ সালে ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র’জীবন শুরু করেন তিনি। ১৯৭৬ সালে চলচ্চি’ত্রকার আ’মজাদ হোসেনের ‘নয়’নমণি’ চ’লচ্চিত্রে খলনায়কের চরি’ত্রে অভিন’য়ের মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পান। এরপর অগণিত ছবি ও নাটকে অভিনয় করে’ছেন তিনি।