যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনের বি’রুদ্ধে করা পৃথক অ’স্ত্র আইনের মা’মলায় ২৭ বছরের কারাদ’ণ্ডাদেশ দিয়েছেন আ’দালত। এর মধ্যে অ’স্ত্র আইনে একটি মা’মলায় ২০ বছর এবং গু’লি উ’দ্ধারের ঘটনায় আরেক মা’মলায় আরও ৭ বছরের কারাদ’ণ্ড দেয়া হয়।







সোমবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার ১ নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম ইম’রুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর একই আ’দালত রিজেন্ট হাসপাতা’লের চেয়ারম্যান সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে অ’স্ত্র মা’মলায় যাব’জ্জীবন কারাদ’ণ্ডাদেশ দেন আ’দালত।







গত ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহ’জালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দুই নম্বর বহির্গমন টার্মিনালের ছয় নম্বর স্টাফ গেটের সামনে থেকে পাপিয়া দম্পতিকে আ’ট’ক করা হয়। দেহ তল্লা’শি করে পাপিয়ার কাছ থেকে একাধিক পাসপোর্ট, নগদ অর্থ,







জাল নোট; পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমানের কাছ থেকে একাধিক পাসপোর্ট, নগদ অর্থ ও বিদেশি অর্থ; সহযোগী আ’সামি সাব্বির খন্দকারের কাছ থেকে একাধিক পাসপোর্ট, নগদ অর্থ, জাল নোট; শেখ তাইবা নূরের কাছ থেকে একটি পাসপোর্ট, নগদ অর্থ ও দুটি ডেবিট কার্ড উ’দ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।







জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া দম্পতির দেওয়া তথ্যানুসারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ফার্মগেট ইন্দিরা রোডের বাসায় ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে অ’ভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখান থেকে অ’স্ত্র, বিদেশি ম’দ, নগদ অর্থ ও ভা’রতীয় রুপি উ’দ্ধার করা হয়।







এ ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থা’নায় অ’স্ত্র এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি করে দুটি ও বিমানবন্দর থা’নায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মা’মলা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া অ’বৈধ পাঁচ কোটি টাকার খোঁজ পেয়ে তাদের বি’রুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে আরেকটি মা’মলা করে পু’লিশের অ’প’রাধ ত’দন্ত বিভাগ (সিআইডি)।







গত ২৯ জুন মা’মলার ত’দন্ত কর্মক’র্তা র্যা’ব-১ এর উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফুজ্জামান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আ’দালতে এ চার্জশিট জমা দেন। ঢাকার ১ নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক ১৮ আগস্ট আ’দালত দুই আ’সামির বি’রুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন।







গত ২৩ আগস্ট একই আ’দালত আ’সামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন। ৭ সেপ্টেম্বর মা’মলা’টিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ছয় কার্যদিবসে মোট ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। ৯ সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ শুনানিতে আ’সামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন।







২৪ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ যু’ক্তিতর্ক উপস্থাপনের আ’সামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাব’জ্জীবন কারাদ’ণ্ড দাবি করেন। ওইদিন আ’সামিপক্ষের আইনজীবীরা যু’ক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। ২৭ সেপ্টেম্বর আ’সামিপক্ষের যু’ক্তিতর্ক শেষে আ’দালত রায়ের জন্য ১২ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। বর্তমানে পাপিয়া দম্পতি কারাগারে রয়েছেন।