আম্ফানের পর এবার ধেয়ে আসছে আরও একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। এই ঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে গতি। এর মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুরু হয়ে গেছে। পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ থেকে এই ঘূর্ণিঝড় শক্তি সঞ্চয় করছে বলে সতর্ক করেছে ভা’রতের আবহাওয়া দফতর।







এই ঘূর্ণিঝড় আ’ঘাত হানতে যাচ্ছে ভা’রতের অন্ধ্রপ্রদেশে। সোমবার সকালে শক্তিশালী রূপ নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল দিয়ে ওই রাজ্যের ভেতরে প্রবেশ করবে এই ঝড়।







আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ হবে ঘন্টায় ৬৫ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিভিন্ন স্থানে ভা’রী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে লাল সংকেত জারি করা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।







আন্দামান সাগর থেকে এই নিম্নচাপ এখন পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। শক্তি সঞ্চয় করে এটি উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।







এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সরাসরি এই ঝড়ের প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে না পড়লেও ওডিশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাট’ক এবং মহারাষ্ট্রে রোববার ও সোমবার প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।







আন্দামান-নিকোবরে প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এই দু’দিন আন্দামান সাগর থেকে বঙ্গোপসাগরের একাংশ উত্তাল থাকবে। সে কারণে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওডিশা ও আন্দামান উপকূলের জে’লেদের এই সময়ের মধ্যে সাগরে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।







এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার আকাশ শনিবার আংশিক মেঘলা থাকবে। দু-এক পশলা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ওই রাজ্যে ভা’রী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে।






