
ছোটরা অনেক সময় এমন অনেক কাজ করে দেখিয়ে দেয় যা সত্যিই অভাবনীয় হয়ে দাঁড়ায়। আসলে ভিত তৈরীর প্রথম ধাপে হলো শৈশবকাল। প্রথম থেকেই ভিত শক্ত থাকলে পড়ে গিয়ে একটি পরিপূর্ণ সফল মানবে পরিণত হয়।
তাই অভিভাবকদের উচিত তাদের প্রতিভার উন্মেষ ঘটে তাদের উৎসাহ প্রদান করা যাতে করে ভবিষ্যতে তারা তাদের আগ্রহঅনুযায়ী কাজ করতে পারে আর সেই কাজের সফলতা অর্জন করতে পারে।
এবার সেই রকম একটি ঘটনা উঠে এলো খবরের শিরোনামে।ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী মহাকাশযানের মডেল বানিয়ে নজির সৃষ্টি করলো। ইসরো আয়োজিত এক মডেল তৈরি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল ৫০০ জন ছাত্র-ছাত্রী।
এই৫০০ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্য থেকে দেবীশ্বরী বিদ্যা নিকেতনের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী অর্চিশা দে একটি অসামান্য সুন্দর মডেল তৈরি করে নজির গড়েছে। এতোটুকু বয়সে এইরূপ প্রতিভা অকল্পনীয়।
কৃতি অর্জন করেছে তো বটেই পাশাপাশি এত সুন্দর একটি মডেল বানিয়ে সকলের মন কেড়েছে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী অর্চিতা দে।
এখনকার শিশুরাই তো পরবর্তীকালে জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের ওপর দেশের সম্মান অনেকখানি নির্ভরশীল।
কিন্তু ছোটবেলা থেকে তাদের উপর কোনো চাপ সৃষ্টি করে তাদের ইচ্ছে তাদের আগ্রহ কে ধ্বংস করে দেওয়ার অধিকার কারোর নেই এমনকি তার বাবা-মায়ের নেই।
তাই নিজেদের স্বার্থে তার সন্তানের স্বার্থে সর্বোপরি দেশের স্বার্থে প্রত্যেকটি বাবা-মায়ের উচিত ছেলে-মেয়ের আগ্রহকে উৎসাহ দেওয়া। ওদের প্রতিভাকে খুঁজে বের করে সেটিকে উন্মেষ ঘটাতে সাহায্য করা।
আর সেটি একমাত্র অভিভাবকদের সহযোগিতার মাধ্যমে সম্ভব। সঠিক অভিভাবকত্ব পেলে সন্তানরা মানুষের মত মানুষ হয়ে উঠতে পারে এবং নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে পারে।