প’রকীয়া আ’সক্ত হয়ে প্রবাসীর স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননী আরেক তিন সন্তানের পিতার সাথে পা’লিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বান্দরবানের লামা উপজে’লার সরই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের টুইন্না পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
পা’লিয়ে যাওয়ার সময় ওই প্রবাসীর স্ত্রী তার স্বামীর পাঠানো নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও কাপড়-চোপড় নিয়ে যাওয়ার অ’ভিযোগ করেছে তার ১৪ বছরের সন্তান শাহাব উদ্দিন। লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আইনজীবি এ্যাডভোকেট মোঃ মামুন মিয়া বলেন,
২৩ সেপ্টেম্বর বুধবার লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মায়ের বি’রুদ্ধে সন্তানের করা মা’মলাটি আমলে নিয়ে নিয়মিত মা’মলা হিসাবে রেকর্ড করতে লামা থা’নাকে নি’র্দেশ প্রদান করেছেন। আদালতে দায়ের করা মা’মলার সূত্রে জানা যায়, সরই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের টুইন্না পাড়ার বাসিন্দা বজল
আহম্মদ জীবিকার তাড়নায় দীর্ঘ ৬ বছর যাবৎ সৌদি আরবে রয়েছে। তার নামে সরই বাজারে ২টি দোকানের প্লট রয়েছে। একটি দোকান ভাড়া নেয় সরই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের হাবিবুর রহমান পাড়ার আব্দুল মাবুদ এর ছেলে কামরুল ইস’লাম (৩৬)। বজল আহম্মদের স্ত্রী রাজু বেগম (৩২) স্বামী দেশে না থাকায় দোকানের ভাড়া আদায় করত। নিয়মিত দোকানে যাতায়াত করতে
গিয়ে দোকানের ভাড়াটিয়া কামরুল ইস’লামের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে দুইজনের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। বজল আহম্মদ ও রাজু বেগমের সংসারে ২টি ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। অ’পরদিকে কামরুল ইস’লাম বিবাহিত ও তিন সন্তানের জনক।
গত ১৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রবাসীর স্ত্রী রাজু বেগম ডাক্তারের কাছে যাচ্ছে বলে বাড়িতে বড় ছেলে শাহাব উদ্দিন (১৪) ও মেয়ে সানজিদা আক্তার সাইমা (১১) কে ফেলে ছোট সন্তান সায়েদকে সাথে নিয়ে প্রেমিক কামরুল ইস’লামের সাথে পা’লিয়ে যায়। লো’কলজ্জার ভ’য়ে নিরবে সন্তান ও স্বজনরা রাজু বেগমকে খুঁজতে থাকে।
ঘটনার পর থকে প্রেমিক কামরুল ইস’লামকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না ও দোকান বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সমাধান করার কথা বলায় ও খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে অনেক সময় অতিবাহিত হওয়ায় আদালতে মা’মলা করতে বি’লম্ব হয় বলে জানায়
শাহাব উদ্দিন। শাহাব উদ্দিন আরো বলে, আমা’র পিতার ঋণ পরিশোধের জন্য বিদেশ থেকে পাঠানো নগদ ৬ লক্ষ টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণালংকার এবং ব্যবহৃত কাপড়-চোপড় সাথে নিয়ে আমা’র মা পা’লিয়েছে। বিষয়টি আমা’র জেঠা রফিকুল ইস’লামকে জানালে তিনি আমা’র মায়ের ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন দিয়ে যোগাযোগের চে’ষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
বর্তমানে আমি ও আমা’র বোন আমা’র জেঠা রফিকুল ইস’লাম ও চাচা আব্দুল আজিজের হেফাজতে আছি। আমা’র পিতা বিদেশে অনেক টেনশনে আছে। প্রবাসী বজল আহম্মদের বড় ভাই রফিকুল ইস’লাম বলেন, ছোট ভাই ৬ বছর প্রবাসে থেকে অ’র্জিত সকল টাকা ও সম্পদ নিয়ে প্রে’মিকের হাত ধরে পা’লিয়েছে রাজু বেগম। বড় ২টি সন্তানের কান্না থামাতে পারছি না। সাথে নিয়ে যাওয়া ছোট সন্তানটি কি অবস্থায় আছে জানি না। সন্তান ফেলে চলে যায় এ কেমন মা।

ছেলেকে রেখে ভাড়াটিয়ার সাথে পালিয়ে গেলেন প্রবাসীর স্ত্রী, ওতঃপর ছেলে যা করলো
Advertisement
Advertisement
Advertisement