ঢাকার সাভারে ভাইয়ের সঙ্গে রিকশায় করে যাওয়ার পথে ছিনিয়ে নিয়ে কিশোরী নীলা রায়কে (১৪) হ’ত্যা’র ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত কাউকে গ্রে’প্তা’র করতে পারেনি পু’লিশ।
গত রোববার রাত আটটার দিকে সাভার পৌরসভার দক্ষিণপাড়ায় তাকে ছু’রি’কা’ঘা’তে হ’ত্যা করেন ব’খা’টে মিজানুর রহমান (২০)। সে হিসাবে ৪০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে।
সাভার থা’নার পরিদর্শক (ত’দন্ত) সাইফুল ইস’লাম বলেন, ঘটনার পর থেকে মিজানকে গ্রে’প্তা’রে পু’লিশের একাধিক দল অভি’যা’ন চালাচ্ছে।
তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রে’প্তা’র করা যায়নি। নীলার বাবা নারায়ণ রায় সোমবার রাতে সাভার থা’নায় মিজান, তাঁর বাবা আবদুর রহমান ও মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকাকে আ’সা’মি করে মা’ম’লা করেন।
নি’হ’ত নীলা রায় মানিকগঞ্জ সদর উপজে’লার বালিরটেক গ্রামের নারায়ণ রায়ের মেয়ে। নারায়ণ মেট্রোরেল প্রকল্পে চাকরি করেন। পরিবারের সঙ্গে নীলা সাভারের ব্যাংক কলোনি এলাকায় থাকত। সে স্থানীয় অ্যাসেড স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
পরিবারের অভি’যো’গ, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় নীলাকে হ’ত্যা করেন মিজান। তিনি একই এলাকার ব্যবসায়ী আবদুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয় একটি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী তিনি। এর আগে একবার টেস্ট পরীক্ষায় অ’কৃতকার্য হওয়া তিনি এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারেননি।
সাভার থা’নার পু’লিশ ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বছর দেড়েক ধরে নীলাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন মিজান।
নীলা গত রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে শ্বা’সক’ষ্টে ভুগছিল। তার ভাই অলক রায় তাকে রিকশায় করে হাসপাতা’লে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
বাসা থেকে কিছু দূর যাওয়ার পর মিজান রিকশার গতি রোধ করেন। এরপর অ’স্ত্রে’র মুখে নীলাকে টে’নে’হিঁ’চড়ে রিকশা থেকে নামিয়ে দক্ষিণপাড়া এলাকায় নিজেদের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যান মিজান।
রাত আটটার দিকে সেখানে নীলার গ’লা’য়, পে’টে, মু’খে ও ঘা’ড়ে ছু’রি’কা’ঘাত করে পা’লি’য়ে যান তিনি। পরে নীলার মৃ’ত্যু হয়।

ভাইয়ের সঙ্গে রিকশায় করে গিয়ে পথেই বোনকে হ’ত্যা
Advertisement
Advertisement
Advertisement
Advertisement