প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন জানিয়েছেন, খিচুড়ি রান্না ও পরিবেশন করা শিখতে কোনো কর্মক’র্তাকে বিদেশ পাঠানো হচ্ছে না। বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, তা পুরোপুরি অসত্য। এ সংবাদের মাধ্যমে আমা’দের মন্ত্রণালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন। গতকাল একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক হাজার সরকারি কর্মক’র্তাকে খিচুড়ি রান্না শিখতে বা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তাব করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।
পরিকল্পনা কমিশন থেকে এ প্রস্তাব অনুমোদন নেয়ার চেষ্টা করছে ডিপিই। স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষণের জন্য ওই কর্মক’র্তাদের বিদেশে পাঠানো হবে। ডিপিইর এ প্রস্তাবের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, ‘ওই প্রস্তাব আম'রা এখনো দেখিনি।
স্কুল ফিডিং কর্মসূচি বাস্তবায়নের অর্থ চেয়ে একটি প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। তবে যেকোনো প্রকল্প নেওয়ার সময় ওই বিষয়ে কর্মক’র্তাদের অভিজ্ঞতা অর্জন বা অভিজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণের একটি বিষয় উল্লেখ থাকে। এটি যেকোনো প্রকল্প বা কর্মসূচির একটি রীতি।
তবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এ প্রকল্পে বিদেশ সফর করে অভিজ্ঞতা অর্জনের প্রয়োজন হবে বলে আমা’র মনে হয় না বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। অধিদপ্তরেরও এ ধরনের কোনো প্রস্তাব পেশ করার কথা নয়। তা ছাড়া বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য কর্মক’র্তা পাঠানোর প্রয়োজন হলে অধিদপ্তর অবশ্যই আমা’দের সঙ্গে আলোচনা করত।
সরকার গত বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার হিসেবে রান্না করা খিচুড়ি সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বছর একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধনও করেন প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে খাবার রান্না করা ও পরিবেশনের বিষয়ে কী কী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে—জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী জানান,
সারা দেশে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুপুরে রান্না করা খাবার পরিবেশন করতে এরই মধ্যে সরকার ‘জাতীয় মিড-ডে-মিল’ নীতিমালা অনুমোদন করেছে। এ নীতিমালার আওতায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুপুরের খাবার বিতরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। এতে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ, বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার বৃদ্ধি, শ্রেণিকক্ষে ধরে রাখা এবং তাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হবে। এ জন্যই আম'রা এ উদ্যোগ নিয়েছি।

খরবটিকে অসত্য বললেন গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
Advertisement
Advertisement
Advertisement