





প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) ত’থ্য গো’পন করে দ্বিতীয় এনআইডি করায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের বরখাস্তকৃত চিকিৎসক ডা. সাবরিনা শারমিন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর বি’রুদ্ধে মা’মলা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)






রোববার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর বাড্ডা থা’নায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০১০ সালের ১৪ ও ১৫ ধারায় এ মা’মলাটি করেন গুলশান থা’না নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া।






এই দুই ধারার সর্বোচ্চ শাস্তি দুই বছরের কারাদণ্ড বা ৪০ হাজার টাকা জ’রিমানা অথবা উভয় দ’ণ্ড। অ’ভিযোগ প্র’মাণিত হলে আইন অনুযায়ী ডা. সাব’রিনার সর্বোচ্চ দুই ব’ছরের কা’রাদণ্ড বা ২০ হাজার টাকা অ’র্থদণ্ড অথবা উভয় দ’ণ্ড হতে পারে।
আইনে যা রয়েছে-






মিথ্যা তথ্য প্রদানের জন্য দণ্ড
জাতীয় নিবন্ধন আইন ২০১০ সালের ১৪ ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনো নাগরিক জাতীয় পরিচয়পত্র প্রা’প্তির লক্ষ্যে উদ্দেশ্যপ্র8’ণো’দিতভাবে বা জ্ঞাতসারে কোনো মি’থ্যা বা বিকৃত তথ্য প্রদান বা তথ্য গো’পন করিলে তিনি এই আই’নের অধীন অ’পরাধ করিয়াছেন ব’লিয়া গণ্য হইবে এবং উ’ক্তরূপ অপ”রাধের জন্য তিনি অ’নূর্ধ্ব এক বৎসর কা’রাদণ্ড বা অ’নধিক বিশ হাজার টাকা অর্থ’দণ্ড বা উ’ভয় দণ্ডে দ’ণ্ডিত হ’ইবেন।’






একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করিবার দণ্ড
জা’তীয় নিবন্ধন আ’ইন ২০১০ সালের ১৫ ধা’রায় বলা হয়েছে, ‘কোনো না’গরিক জ্ঞাত’সারে একা’ধিক জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করিলে তি’নি এই আ’ইনের অ’ধীন অপ’রাধ করি’য়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ অ’প’রাধের জন্য তিনি অ’নূর্ধ্ব এক বৎসর কারা’দণ্ড বা অন’ধিক বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’






ইসি সূত্র জানায়, ডা. সাবরিনার দুই এন’আইডিতে দুই স্বামীর নাম উ’ল্লেখ আছে। একটি এনআ’ইডির চেয়ে অ’ন্যটিতে বয়স কম দেখানো হয়েছে। বর্ত’মান তার দু’টি এনআ’ইডিই স’ক্রিয়। দুর্নী’তি দমন কমিশন (দুদক) বিষ’য়টি টের পাওয়ার পর বিস্তা’রিত জা’নতে ইসির কাছে তথ্য চে’য়েছে।






সূত্র আরও জানায়, ডা. সাবরিনা ২০১৬ সালের ভো’টার তালিকা হালনা’গাদের সময় দ্বিতী’য়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাব’রীনা শারমিন হো’সেন নাম দিয়ে। এর একটিতে জন্মতা’রিখ ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্য’টিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর।






দুটি আইডিতে বয়সের ফা’রাক পাঁচ বছর। একটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর. এইচ. হক। দ্বিতী’য়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী। একটিতে বাবার নাম সৈয়দ মুশা’ররফ হোসেন ও মায়ের নাম কি’শোয়ার জেসমীন। অপ’রটিতে মা-বাবার নাম সৈয়দ মুশাররফ হুসেন ও জেসমিন হুসেন দিয়েছেন।






দুই এনআইডিতে দুই ঠি’কানা ব্যবহার করছেন ডা. সাবরিনা। একটিতে মোহাম্মদপুরের পিসি’কা’লচার হাউজিং সোসাইটির ঠিকানা, অন্যটিতে বাড্ডা এলাকার প্র’গতি সরণির আ’নোয়ার ল্যা’ন্ডমা’র্কের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে।






এদিকে করো’নার ভু’য়া রিপো’র্ট দেয়ার অ’ভিযোগে প্র’তারণার মাম’লায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বি’রুদ্ধে সা’ক্ষ্য গ্রহ’ণ চলছে ঢাকা মহা’নগর হা’কিম আদালতে।






করো’নাভা’ইরাসের নমু’না পরী’ক্ষা না করেই ভু’য়া রি’পোর্ট দেয়ার অভি’যোগ এনে গত ২৩ জুন তে’জগাঁও থা’নায় মা’মলাটি দায়ের করেন কামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। মা’মলায় পেনাল কোডের ৭০/২৬৯/৪২০/৪০৬/৪৬৬/৪৭১/৩৪ ধারায় অভি’যোগ আনা হয়। এর মধ্যে একা’ধিক ধারায় সর্বো’চ্চ শা’স্তি সাত বছরের কা’রাদণ্ড।






উল্লে’খ্য, গত ১২ জুলাই দুপুরে সাব’রিনাকে তেজ’গাঁও বিভাগীয় উপ-পু’লিশ (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জি’জ্ঞাসাবাদ করা হয়। জি’জ্ঞাসাবাদ শে’ষে তাকে ক’রো’নাভা’ইরাসের ন’মুনা পরী’ক্ষা না করেই ভু’য়া রি’পোর্ট দে’য়ার অভি’যোগে তে’জগাঁও থা’না’য় করা মা’মলায় গ্রে’ফতার করে পু’লিশ। বর্ত’মানে তি’নি কা’রাগারে রয়ে’ছেন।