প্রয়াত বলিউড অ’ভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃ’ত্যুরহস্যের ত’দন্তে নেমে প্রতিটি বি’ষয়ে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করছে সিবিআই। মা’মলার ত’দন্তে এবার বলিউড অ’ভিনেতার মৃ’ত্যুর দিন অর্থাৎ গত ১৪ই জুন সকাল থেকে ঘটে যাওয়া প্রতিটি ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ সংগ্রহ করলেন সিবিআই আধিকারিকেরা।






ঘটনার দিন অ’ভিনেতার স’ঙ্গে যারা যারা ছিলেন তাদের প্রত্যেককে দ’প্ত রে ডেকে পাঠিয়ে জেরা করেছে সিবিআই।সিবিআই সূত্রে খবর, ঐদিন সুশান্ত সিং রাজপুতের স’ঙ্গে তার ফ্ল্যাটে ছিলেন বন্ধু সি’দ্ধার্থ পিটানি এবং সুশান্তের গৃহকর্মী নীরাজ, দীপেশ এবং কেশব। তারাই এই মা’মলার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে চিহ্নিত।






তাই ঘটনার দিন কি কি ঘটেছিল,সে সম্বন্ধে জেরা করতেই তাদের সিবিআই দ’প্ত রে ডেকে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে নীরাজ জানিয়েছেন, ঘটনার দিন সকালে সুশান্তের পোষ্য কুকুরকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি।






ফেরার পর সুশান্তের সাথে কথা হয় তার। সুশান্ত তাকে জিজ্ঞেস করেন ফ্ল্যাটের হল ঘর পরিষ্কার আছে কিনা। নীরাজ এও জানিয়েছেন, সুশান্ত কখনোই তার কর্মীদের ওপর রাগারাগি করতেন না। অ’পর এক গৃহকর্মী দীপেশ জানালেন, ১৩ই জুন রাতে অর্থাৎ মৃ’ত্যুর ঠিক আগের দিন রাতে শুধুমাত্র একটু ম্যাংগো শেক ছাড়া আর কিছুই খাননি সুশান্ত।






সেদিন রাতে রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ঘু’মিয়ে পড়েন দীপেশ। এরপর সকাল ছটা নাগাদ দেখেন, সুশান্তের ঘরের দরজা খোলা এবং তিনি তার ঘরের বিছানার উপর বসে রয়েছেন। সে সময় তার ঘরে ফ্যান চলছিল এবং দরজা জানালার পর্দা সরানো ছিল। সেই সময় দীপেশ তাকে চা-কফি-ব্রেকফাস্ট দেওয়ার কথা জিজ্ঞেস করলে সরাসরি না করে দেন সুশান্ত।






দীপেশ জানিয়েছেন, এদিন সকাল পর্যন্ত সুশান্তের আচরণে কোনো অস্বাভাবিকতা ছিল না। কেশব জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে অ’ভিনেতার জন্য ব্রেকফাস্ট হিসেবে ফলের রস, ডাবের জল এবং কলা নিয়ে যান তিনি। সেখান থেকে শুধু ফলের রস এবং ডাবের জলই খেয়ে ছিলেন সুশান্ত।






সাড়ে দশটার সময় দুপুরে কি খাবেন জিজ্ঞেস করতে আবার তার ঘরে পৌঁছে দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। ভেতর থেকেও কোনো সাড়াশব্দ নেই। তখনই তিনি সি’দ্ধার্থকে ডেকে পাঠান। এরপর পু’লিশ ডেকে দরজা ভাঙলে প্রয়াত অ’ভিনেতাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উ’দ্ধার করা হয়।





