‘বর্তমানে দেশের প্রাথমিক স্কুলের একজন শিক্ষার্থীও ইন্টারনেট দাবি করছে’ বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিন বলেছেন, ‘২০০৮ সালেও দেশে আট জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহার হতো এবং ব্যবহারকারী ছিল মাত্র আট লাখ।






বর্তমান ২১০০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে এবং দেশে ১০ কোটির বেশি মানুষ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।’ সোমবার (২৪ আগস্ট) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব রোধে তাইওয়ান সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।






অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, ঢাকায় তাইওয়ান ট্রেড সেন্টারের পরিচালক তিমথি ডব্লিড. ডি. সো. ম্যানেজার রঞ্জন চক্রবর্তী প্রমুখ।






অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘কোভিড-১৯ সারা দুনিয়ার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডাক্তার নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মী, পু’লিশ এবং সাংবাদিকরা দায়িত্ব পালন করছেন।’ তাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন,






‘করো’না পরিস্থিতিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সাধ্যের সবটুকু দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশে দাঁড়িয়েছে। আম'রা দেশের ৬৪টি জে’লায় বিনা মাশুলে স্বাস্থ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘কলসেন্টার ও টেলিমেডিসিন ব্যবস্থায় নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করার সুযোগ সৃষ্টি এবং টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট অব্যাহত রাখার মাধ্যমে জীবনযাত্রা গতিশীল করার চেষ্টা করছি।






করো’নাকালে গ্রামের মানুষটি পর্যন্ত উপলব্ধি করছে ডিজিটাল বাংলাদেশ না থাকলে বৈশ্বিক মহামারির এই ক্রান্তিলগ্নে মানুষের জীবনযাত্রা বিপন্ন হতো।’ ‘আজকের বাংলাদেশে প্রাথমিক স্কুলের একজন শিক্ষার্থীও ইন্টারনেট দাবি করছে’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘২০০৮ সালেও দেশে আট জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহার হতো এবং ব্যবহারকারী ছিল মাত্র আট লাখ।






প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদের দিকনির্দেশনায় ডিজিটালাইজেশনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। দেশে আজ ২১০০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে এবং দেশে ১০ কোটির বেশি মানুষ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।’ তিনি দৃঢ় আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাঙালি বীরের জাতি করো’না থেকেও আম'রা জয়ী হব।’





