বিশ্বে বিভিন্ন ধরণের অবাক ও হাসির ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। সেসব দেখে অনেক সময় বাস্তব যুক্তিও খুঁজে পাওয়া যায় না। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে উগান্ডার এক ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি বিয়ের দুই সপ্তাহ পরে জানতে পারলেন তার স্ত্রী আসলে একজন পুরুষ।






জানা গেছে, বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া উগান্ডার ওই ব্যক্তি একজন ই’মাম। কিন্তু তিনি নারী ভেবে যাকে বিয়ে করেছিলেন তিনি আসলে ছিলেন পুরুষ । বিয়ের ১৪ দিন পার হয়ে গেলেও স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হতে পারেননি স্বামী। কারণ, বাসর রাত থেকেই কনে বলে আসছেন, তার পিরিয়ড চলছে।






এদিকে স্ত্রী সুস্থ হওয়ার আশায় দিন কাটছে স্বামীর। এরই মধ্যে প্রতিবেশিরা স্বামীকে ডেকে বলেন, রাতের বেলা তার স্ত্রী দেয়াল টপকে প্রতিবেশির বাড়িতে ঢুকে টেলিভিশন এবং কিছু কাপড় চুরি করে এনেছেন। কিন্তু দুই ঘরে চুরির সামগ্রী না পেয়ে সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে সন্দেহ করেন নি স্বামী।






এদিকে বিচার না পেয়ে পু’লিশের কাছে অ’ভিযোগ করেন প্রতিবেশিরা। স্থানীয় থা’নাতে অ’ভিযোগ দায়ের করার পরে ওই ই’মাম এবং তার স্ত্রী সেখানে যান। থা’নাতে যাওয়ার সময়ে ওই ই’মামের স্ত্রীর পড়নে ছিল মুসলিম পোশাক এবং পায়ে ছিল সাধারণ চটি। নিয়মানুযায়ী নারী পু’লিশ দিয়ে তল্লাশি করাতে গিয়ে বেরিয়ে আসে আসল সত্য।






জানা যায়, আসলে স্ত্রী সেজে থাকা ওই ব্যক্তি আসলে নারী নন, একজন পুরুষ। এরপর তার স্বামীর কাছে ফোন যায় পু’লিশের। পু’লিশ তাকে জানায়, সোয়াবুল্লাহ নাবুক নামের নারী অর্থ্যাৎ তার স্ত্রী হিসেবে থাকা ব্যক্তি আসলে পুরুষ। তবে সেই কথাও বিশ্বাস করেননি স্বামী মুহাম্মদ মুতুম্বা।






তিনি পু’লিশের কাছে আবেদন জানান, তার স্ত্রীর গো’পনাঙ্গ দেখবেন। সে অনুসারে মুতুম্বাকে সেই অনুমতি দেয় পু’লিশ। জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উগান্ডার কাউঙ্গা জে’লার কিয়ামপিসি গ্রামে। পু’লিশ জানিয়েছে, নারী সেজে থাকা ওই যুবক আসলে চোর। তার আসল নাম রিচার্ড তুমুসাবি। মুতুম্বার টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার জন্যই তিনি নারী সেজে বিয়ে করেছেন।






অন্যদিকে মুতুম্বা তাদের গ্রামের ম’সজিদের ই’মাম। তিনি বলেন, আমি বিয়ের জন্য দীর্ঘদিন ধরে পাত্রী খুঁজছিলাম। আমি যখন এতো সুন্দর মেয়েকে হিযাব পরে দেখেছিলাম, তাকে ভালো লাগার কথা বলেছিলাম। সে রাজি হয়েছিল। সেই সঙ্গে সে বলেছিল, আমি তার বাবা-মায়ের কাছে মোহরানার টাকা না দেওয়া পর্যন্ত এবং বিয়ে না করা পর্যন্ত বিছানায় যাবে না।






তারপর থেকেই পিরিয়ডের কথা বলে আসছিলেন ওই নারী। বিষয়টি এখন উগান্ডার গোয়েন্দা বাহিনী ত’দন্ত করে দেখছে। অ’ভিযু’ক্ত ব্যক্তির বি’রুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানা গেছে।