ফোনালাপের কয়েকটি রেকর্ড বিভিন্ন গণমাধ্যমের কাছে এসেছে। ঘটনাস্থল থেকে এ সম্পর্কিত নির্দেশনা গ্রহণ ও নিশ্চয়তা প্রদানই ছিল ফোনালাপের মূল বিষয়বস্তু। তাদের কথোপকথন হুবহু তুলে ধ’রা হলো—






প্রদীপ : আদাব স্যার।
প্রদীপ : স্যার লিয়াকত গু’লি করছে নাকি স্যার, আমি যাচ্ছি ওখানে।
মাসুদ : কে? প্রদীপ : ঐ যে স্যার লিয়াকত। স্যার ইয়াতে, চেকপোস্টে একটা গাড়িকে সিগন্যাল দিছে, সিগন্যাল দেওয়ার পর গাড়ি থেকে তাকে পি’স্তল দিয়ে গু’লি করছে। ঐ সময় আমি তাকে বললাম, তুমিও তাড়াতাড়ি ওকে গু’লি করো। সেও নাকি তাকে গু’লি করছে স্যার। আমি যাচ্ছি স্যার, ওখানে স্যার।






মাসুদ : যান, যান।
যদিও ওসির বক্তব্যের সঙ্গে মিল নেই লিয়াকতের। লিয়াকত বলেন, মেজর সিনহা পি’স্তল তাক করায় তিনি তাকে গু’লি করেন। এসপির সঙ্গে লিয়াকতের কথোপকথন হুবহু তুলে ধ’রা হলো—
লিয়াকত : আসসালামু আলাইকুম স্যার, স্যার।
মাসুদ : বলো।
লিয়াকত : এখানে একটা প্রাইভেট কার আসে স্যার, ঢাকা মেট্রো লেখা। আর্মির পোশাক টোশাক পরা। সে ঐ বোরখা খুলে ফেলছে। পরে যখন তাকে চার্জ করছি সে মেজর পরিচয় দিয়ে গাড়িতে চলে যেতে চাইছিল। পরে অস্ত্র তাক করছিল। আমি গুলি করছি স্যার। একজন ডাউন করছি। আরেক জনকে ধরে ফেলছি স্যার। স্যার, আমি কী করব স্যার। আমাকে পি’স্তল তাক করছে, পি’স্তল পাইছি তো স্যার।
মাসুদ : আচ্ছা ঠিক আছে। তোমাকে গু’লি করছে, তোমার গায়ে লাগে নাই। তুই যেইটা করছ সেটা তার লাগছে।
লিয়াকত : রাইট স্যার। লাগছে স্যার, লাগছে স্যার।
মাসুদ : হ্যাঁ।






পু’লিশ আ’টক করার পর সিফাত যে ব’ক্তব্য দিয়েছেন সেখানেও দুই পক্ষের অ’স্ত্র তাক করার তথ্য নেই। প্রকাশ পাওয়া সিফাতের একটি জবানবন্দিতে দেখা গেছে, তিনি বলেছেন, পথ আ’টকানোর কারণে সিনহা রাশেদ রেগে যান। তবে তিনি অস্ত্র নিয়ে গু’লি করা তো দূরের কথা গু’লি তাকও করেননি।






সিফাত বলেন, ‘লিয়াকত সাহেবের সঙ্গে ডিবির দুই লোক ছিল। বাকিরা ইউনিফর্মে। পু’লিশ রাগারাগি করে সিনহা ভাইকে গু’লি করে। তখন আম'রা সামনের দিকে যাচ্ছিলাম।’ অডিওতে শোনা যাচ্ছে, ওসি প্রদীপ এসপি মাসুদকে বলেন, সিনহা রাশেদ গু’লি করায় তাঁর নির্দেশে লি’য়াকত গু’লি করেন।






তবে লিয়াকত এসপিকে বলেন, সিনহা রাশেদ গু’লি তাক করেছিলেন। এস’পি মাসুদ তখন ওসি প্রদীপের সুরে লিয়াকতকে বলেন, ‘তো’মা’রে গু’লি করছে, তোমার গায়ে লাগেনি, তুমি যেটা করছ সেটা তার গায়ে লাগছে!’ এর মাধ্যমে ওসির সাজানো মা’মলায় এসপি সহায়তা করে’ছেন বলে অ’ভিযোগ উঠেছে।