গত মার্চ মাস থেকেই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঝুলছে তালা। কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। মহামারী করো’না ভা’ইরাস যেন শিক্ষার্থীদেরকে ফেলে দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তায়। সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ক্লাস চলছে টেলিভিশনের পর্দায়। পাশাপাশি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে অনলাইনভিত্তিক পাঠদান।






অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হলেও নানা জটিলতায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদেরকে। যার মধ্যে অন্যতম একটি হল উচ্চমূল্যের ডাটা চার্জ। ডাটা প্যাক কিনতে শিক্ষার্থীদেরকে খরচ করতে হচ্ছে বাড়তি পয়সা ফলে আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা ক্লাস করা নিয়ে পড়েছেন অনিশ্চয়তায়। ডাটা কেনার ক্ষেত্রে আর্থিক সঙ্কট কা’টাতে সরকারের পক্ষ থেকে এই ব্যয় বহন করা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল






হাসান চৌধুরী।মহিবুল হাসান বিবিসিকে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে সরকারের পরিকল্পনার কথা। শিক্ষার্থীদেরকে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা দেয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘’শিক্ষার্থীর যে ডাটা কস্ট সেটা সাবসিডাইজ করার জন্য যেমন ধরুন আম'রা একটা সরকারি ওয়েবসাইট করলাম।সেখানে ক্লাসের পড়া রেকর্ডেড থাকবে।






যার কাছে একটা স্মার্ট ডিভাইস থাকবে সে তার সময়মত ক্লাস করে নিতে পারবে। মোবাইল কোম্পানিগুলো আমা’দের বলবে এই সাইটের জন্য কত টাকা ডাটা কস্ট এসেছে। সেটা সরকার পরিশোধ করে দেবে।” তিনি আরও জানান প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে স্কুল পর্যায়ের সব শিক্ষার্থীদের একসাথে ক্লাস না নিয়ে ভাগে ভাগে ক্লাস নেয়া হবে। তার ভাষ্য, ‘’এটা হতে পারে এক সপ্তাহে কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী ক্লাস করবে। পরের সপ্তাহে অন্যরা।‘’উল্লেখ্য, সরকারের পক্ষ থেকে






ইন্টারনেট ব্যবহারে সুবিধা দেয়ার ব্যাপারে আলোচনা চলে আসছিল বেশ আগে থেকেই। বেশ কিছুদিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়নি। শুধু তাই নয় চলতি বাজেটের পর ইন্টারনেতের খরচ উল্টো বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে হয়েছে শিক্ষার্থীদেরকে।





