
পানিতে যখন ভেসে গেছে জীবনের সঞ্চয়, তখন ঈদ আনন্দ বানভাসি মানুষের কাছে অনেকটাই সাদামাটা। নেই উদযাপনের তোড়জোড় নেই ব্যস্ততা। এরমাঝেও খানিকটা মনের প্রশান্তি খুঁজেছেন ভাসমান প্রার্থনায়, যেখানে নৌকায় ঈদ জামাতে শরীক হয়েছেন সর্বশক্তিমানের কৃপার আশায়।






স্বল্প সময়ের ব্যবধানে দুই দফা ব’ন্যায় প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে পানিব’ন্দি জীবন নিয়ে নাকাল কুড়িগ্রামের নদ-নদী অববাহিকার অর্ধশতাধিক ইউনিয়নের তিন লক্ষাধিক মানুষ। জল-কাদা আর ভাঙনের সঙ্গে নিত্য বসবাসকারী এসব মানুষের জন্য সহসা কোনও সুখবর নেই।






জে’লার নদ-নদীগুলোতে বিপৎসীমা’র মধ্যে থাকা পানি দুই-তিন দিন কিছুটা কমা’র পর আবারও বাড়তে শুরু করেছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, বর্ষণ আর উজানের ঢলে আগামী কয়েকদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থেকে পরিস্থিতির অবনতি হয়ে বানভাসিদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। ঈদুল আজহার আগে পানিব’ন্দি দশা ও ভোগান্তি থেকে মুক্তি মেলার সম্ভাবনা নেই।






ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় আসন্ন কোরবানি ঈদের পরেও ব’ন্যা পরিস্থিতি চলমান থাকতে পারেচলমান ব’ন্যায় জে’লার চার শতাধিক চরসহ নদ-নদী অববাহিকার এলাকাগুলো যেন অখণ্ড জলরাশিতে রূপ নিয়েছে। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে বাঁধ, উঁচু সড়ক কিংবা আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন।






কেউবা ভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে নিকট ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে দিশাহারা। এর মধ্যে খাদ্য সংকটে যোগ হয়েছে ক্ষুধার জ্বালা। সব মিলিয়ে এক দুর্বিষহ ও মানবেতর পরিস্থিতি বানভাসিদের। নদ-নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে এখন শুধুই নীরব আহাজারি। বিগত কয়েক বছরে এতটা দীর্ঘায়িত ব’ন্যার কবলে পড়েনি এই অববাহিকার বাসিন্দারা। ফলে দীর্ঘমেয়াদি এ ব’ন্যার ধকল সামলে ওঠা নিয়ে সংশয় আর অনিশ্চয়তা তাদের চোখে-মুখে





