১৯৮৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত আমেরিকান চলচ্চিত্র রেইন ম্যান ১৯৮৯তে ৪টি অস্কারসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ২৭টি পুরস্কার পেয়েছিলো। চলচ্চিত্রটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন টম ক্রুজ ও ডাস্টিন হফম্যান। অটিজম আক্রান্তদের নিয়ে নির্মিত এই সিনেমার রেইন ম্যান বাস্তবেরই কেউ।






একজন আমেরিকান স্যাভান্ট; এক বিস্ময়মানব কিম পিক; যিনি ছিলেন অবিশ্বাস্যরকম স্মৃ'তিশক্তির অধিকারি। ১২০০০ বই যার মুখস্ত ছিলো, এবং একটা বই একবারের বেশি পড়তেন না; পড়া লাগতো না বলা যায়। একই সাথে বইয়ের দুই পৃষ্ঠা পড়তে পারতেন, একেক চোখে একেক পাতা করে। অর্থাৎ ডাস্টিন হফম্যান এর চরিত্রটি বাস্তবে কারো জীবনী থেকে অনুপ্রাণিত।






আম'রা যেখানে স্বাভাবিকভাবে একেকজন মানুষ ৩-৪ বছর বয়স থেকে কোনো কিছু মুখস্ত করতে শিখি, সেখানে তিনি মুখস্ত করতে শিখেছিলেন মাত্র ১৬-২০ মাস বয়সেই। এই বিস্ময় মানবের পুরো নাম লরেন্স কিম পিক, জন্ম ১১ নভেম্বর ১৯৫১ সালে আমেরিকার সল্টলেক সিটিতে। জন্ম থেকেই উনার সেরেবেলাম এর ড্যামেজ ছিলো। এবং তিনি মেগাস্যাভান্ট হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।






অটিজমে আক্রান্ত এই বিস্ময়মানবের স্মৃ'তিশক্তি এত প্রখর থাকলেও স্বাভাবিক জীবন-যাপনে অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিলো। নিজের দাঁত নিজেই ব্রাশ করতে পারতেন না, জামার বোতাম লাগাতে পারতেন না। চার বছর বয়স পর্যন্ত তিনি হাঁটতেই শিখেন নি। অথচ আইকিউ টেস্টে কখনো ৮৭ শতাংশের কম মার্কস পেতেন না।






মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি হাইস্কুলের শিক্ষা সম্পুর্ণ করে ১৮ বছর বয়সে চাকুরিতে যোগ দেন। সেখানে দেখা গেলো, ক্যাল্কুলেটর ছাড়াই জটিল জটিল হিসাব এমনিতেই করে ফেলতে পারতেন। তার এই আশ্চর্য্য ক্ষ্মতায় বিস্মিত হয়ে শেষে তাকেই একই সাথে দুইজন হিসাবরক্ষক এবং একটা কম্পিউটারের জায়গায় স্থলাভিষিক্ত করা হয়।






তার পরিবারের লোকেরা যেহেতু তার সম্পর্কে জানতেন, তাই তার বাবা কখনো তার সামনে বাড়ির কেয়ারটেকারের সাথেও কোনো লেনদেন করতেন না। তিনি অনেক পুরনো দিনের কথা ৯৮ শতাংশই মনে রাখতে পারতেন। শহরের না, জিপ কোড, বাড়ির নাম্বার, জুয়ার আসরে তাসসহ এসব কিছুই প্রায় হুবহু মনে রাখতে পারতেন। কেউ কেউ তার এই ক্ষমতার জন্য তার এই মেমোরিকে ফটোগ্রাফিক মেমোরি বলে থাকেন।





