হোস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার হল এক জুনিয়র চিকিৎসকের ঝু’লন্ত ম’রদেহ। আ’ত্মঘা’তী ওই চিকিৎসকের নাম মানসী মণ্ডল। ভারতের কলকাতার এন্টালিতে হোস্টেলের রুমটির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। দরজা বন্ধ করে ঘরের ভিতর গলায় দড়ি দিয়ে আ’ত্মহ’ত্যা করেছেন আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পিজিটি ছাত্রী। জানা গেছে, মানসী মণ্ডল নামে ওই ছাত্রী মানসিক অ’বসাদে ভুগছিলেন।






বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে দরজা ভেঙে আ’ত্মঘা’তী জু’নিয়র চিকিৎসকের ঝু’লন্ত দে’হ উ’দ্ধার করে এন্টালি থা’নার পু’লিশ। ঘরের ভেতর থেকে একটি সু’ইসা’ইড নোট উদ্ধার করা হয়। পু’লিশ সূত্রে জানা যায়, সেই সু’ইসা’ইড নোটে মানসিক অবসাদের কথা লেখা রয়েছে। সু’ইসা’ইড নোটে লেখা, জীবনের প্রতি আ’সক্তি হারিয়ে গিয়েছিল। স্বামী বে’ঙ্গালুরুতে থাকেন। মার্চ থেকে দেখা হয়নি। একথা বন্ধু বা রুমমেটদের একাধিকবার মানসী জানিয়েছিলেন বলেও জানা গেছে।






আরও জানা গেছে, এদিন সকালে সোয়া ৯টা নাগাদ বন্ধুদের ফোন করেন মানসী। জুনিয়র ডাক্তার বন্ধুদের তখন জানান যে তিনি এখনই কলেজে যাচ্ছেন না। কয়েকটা ওষুধ খেয়ে তারপর যাবেন। কিন্তু তারপর আর তাকে কলেজে আসতে না দেখে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। হোস্টেলের ঘরে খোঁজ করতে এসে ঘরের দরজা খুলতে পারেন না লেডিস হোস্টেলের সুপার। বিষয়টি তিনি তখনই কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানান। সেইসময় এই ডেন্টাল কলেজকে করো’না হাসপাতা’ল হিসেবে তৈরির জন্য বৈঠক চলছিল।






পু’লিশ দরজা ভাঙতেই মা’নসী মণ্ডলের ঝু’লন্ত ম’র’দেহ উ’দ্ধার হয়। ম’রদেহ উ’দ্ধার করে ময়’না’ত’দন্তের জন্য নিয়ে গেছে পু’লিশ।কলেজ সূত্রে জানা গেছে, পুরুলিয়ার বাসিন্দা মানসী মণ্ডল নর্থ বেঙ্গল ডেন্টাল কলেজের ছাত্রী ছিলেন। পরে তিনি ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারির জন্য স্নাতকোত্তর কোর্স করতে আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে সুযোগ পান। এখানেই পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনি অর্থাৎ পিজিটি হিসেবে দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছিলেন।





