
সারাদেশঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জে’লার নাসিরনগর উপজে’লার কুন্ডা ইউনিয়নের আন্দ্রাবহ গুচ্ছগ্রাম স’রকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রীতা রানী সূত্রধর তার ষাটোর্ধ্ব বৃ’দ্ধ শ্বাশুড়ীকে পি’টিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে বলে থা’নায় লিখিত অ’ভিযোগ দা’য়ের করেছে হতভাগা শ্বাশুড়ী।






গত রবিবার সকালে সহকারী শিক্ষিকা রীতা রানী সূত্রধর তার বৃ’দ্ধ শ্বাশুড়ীকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে শাশুড়ি তাঁর প্র’তিবাদ করলে রীতা রানী শাশুড়িকে বেধড়ক পি’টিয়ে হাত ভেঙ্গে ফে’লে। জানা গেছে পুত্রবধু রীতা রানী সূত্রধর ও তার স্বামী ঔষধ ব্যবসায়ী সম’রেন্দ্র সূত্রধর দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের মা-বাবা ও শ্বশুর শ্বাশুড়ীকে ভাত কাপড় না দিয়ে বিভিন্নভাবে শারিরীক ও মা’নসিকভাবে নি’র্যাতন করে আসছে।






সম’রেন্দ্র সূত্রধররের তুল্লাপাড়া মোড়ে ঔষধের ফার্মেসী আছে। সম’রেন্দ্র সূত্রধরের অবিবাহিত ছোট বোন অ’ভিযোগ করে বলেন, আমা’র ভাই এবং ভাইর বউ আমা’দের কোন খরচ দেয় না তাই আমি বা’ধ্য হয়ে প্রা’ণ কোম্পানীতে স্বল্প বেতনের কাজ করে আমা’র বৃ’দ্ধ মা-বাবাকে লালন পালন করে যাচ্ছি।






আন্দ্রাবহ গুচ্ছ গ্রাম স’রকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচলনা কমিটির সভাপতি মোঃ নাছির মিয়া, স্থানীয় সর্দার সবুর মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য আঃ রশিদ মিয়া, নুরুউদ্দিন পাঠান, ছোয়াব মিয়া, ঠাকুর চাঁন দাস, কেশব দাস সহ আরও বেশ কয়েকজন জানায়, এ নিয়ে তারা স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েক দফা শালিস দরবার করেও কোন সমাধান দিতে পারেননি।






তারা জানায়, সম’রেন্দ্র সূত্রধরের স্কুল শিক্ষিকা বৌয়ের নি’র্যাতনে শ্বশুড়- শ্বাশুড়ী সহ গ্রামবাসী অ’তিষ্ঠ। এ বি’ষয়ে শিক্ষিকার স্বামী সম’রেন্দ্র সূত্রধরের সাথে কথা বললে তিনি বি’ষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। এ বি’ষয়ে জানতে গেয়ে নাসিরনগর উপজে’লা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মক’র্তা উম্মে ছালমার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগেযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।






নাসিরনগর উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তা নাজমা আশরাফীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি থা’নায় যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। গ্রামবাসী সহ স্থানীয়রা উক্ত শিক্ষিকার দ্রুত বদলী সহ তার বি’রুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।





