স্বামী নেই পান্নার। আছে তিন শি’শু– দুই মে’য়ে, এক ছে’লে। ছে’লেমে’য়েদের নিয়ে কারওয়ান বাজারের ফুটপাতে থাকেন পান্না। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকে কাঁচামাল আসে কারওয়ান বাজারে। ট্রাক নামা’নোর সময় দু-একটি সবজি পড়ে যায়, অনেক সময় অল্প নষ্টগুলো ফে’লে দেয়া হয়। সেসব সবজি কু’ড়িয়ে চলে পান্নার সংসার।






বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, অল্প কিছু টমেটো নিয়ে বসে আছেন পান্না। তিনি বলেন, ‘আজকে এই কয়ডা পাইছি। আর পাই নাই।’ ক্রেতাদের কাছে টমেটোগুলোর ১০০ টাকা দাম হাকাচ্ছেন পান্না। সেগুলো বিক্রি হলেই তার পরিবারের খাবার জুটবে।






পান্না বলেন, ‘বাচ্চা পুলাইপান লইয়া অনেক ক’ষ্ট করি আমি। আমা’র দুই মে’য়ে, এক ছে’লে। এডি আমি সকালে টুকাইছি। এহন পর্যন্ত বিক্রি করতে পারি নাই। এই কয়ডা নিলে (বিক্রি করতে পারলে) ভাত কয়ডা খাহামু, নইলে পাইতাম না।’






টমেটো ছাড়াও যখন যা পান, তাই কুড়িয়ে বিক্রি করেন পান্না। তিনি বলেন, ‘আমি নিয়মিত এগুলো টুকাইয়া বিক্রি করি। কাঁচা ম’রিচ, বিভিন্ন তরকারি, পাঁচ’মিশালি। আজকে আর টুকাইবো না। এহন আর মাল আইবো না, রাত্রে আইবো।’ টমেটোগুলো বিক্রির পর মালবাহী ট্রাক আসার অ’পেক্ষা শুরু হবে পান্নার। এভাবেই হয়তো চলে কারওয়ান বাজারের অনেক পান্নাদের জীবন।





