
টাঙ্গাইলে যমুনা ও ঝিনাই নদীর পানি সামান্য কমলেও অন্যন্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে ৪ নদীর পানি বিপদসীমার উপরে রয়েছে। আর এতে জে’লার সার্বিক ব’ন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। তবে এখনও নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের গ্রামগুলো নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে।






জে’লার নিমাঞ্চল ও চরাঞ্চলের অনেক গ্রামের ঘড়-বাড়ি ও ব’ন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। জে’লায় প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবিন্দ অবস্থায় রয়েছে। আর দ্বিতীয় দফার ব’ন্যায় ৫ হাজার ২২৬ হেক্টর ফসলী জমি নিমজ্জিত হয়েছে।টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়- গত সোমবার সকালে ধলেশ্বরী নদীর পানি ১ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৫৩ সে.মি., যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৭৭ সে.মি. এবং ঝিনাই নদীর পানি ১ সে.মি. কমে বিপদসীমার ৮৯ সে.মি. উপরে প্র্রবাহিত হচ্ছে।






টাঙ্গাইল প্রশাসনের জে’লা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্র জানায়- জে’লায় এখন পর্যন্ত (সোমবার পর্যন্ত) টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর, দেলদুয়ার, ভূঞাপুর, কালিহাতী, ধনবাড়ী এবং গোপালপুর উপজে’লার ৪২ টি ইউনিয়নের অন্তত ৩০৫ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অ’পরদিকে কালিহাতী উপজে’লার এলেঙ্গা পৌরসভা আংশিক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এদিকে ব’ন্যার পানিতে ডুবে কালিহাতীতে ৩ বছরের এক শিশুর মৃ’ত্যু হয়েছে।






এই চলতি ব’ন্যায় ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪১ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দি পরিবারের সংখ্যা ৩৮ হাজার ৪৭৮টি। আর পানিবন্দি লোক সংখ্যা ১ লাখ ৫৩ হাজার ৯১২ জন। অ’পরদিকে,৭’শ ৫২টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে এবং আংশিক ৬ হাজার ২’শ ৮১টি ঘরবাড়ি নদীতে বিলিন হয়েছে। নাগরপুরে ১ টি স্কুল নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আংশিক আরো ৩৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।






এছাড়াও নদী ভাঙনে ১ টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত এবং আংশিক ১৯ টি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ৭ উপজে’লার ৩২৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আরও জানায়, জে’লায় এখন পর্যন্ত ২ কি.মি. সম্পূর্ণ কাচা রাস্তা এবং আংশিক ১৯৭ কি.মি. কাঁচা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫৫ কি.মি. পাকা রাস্তা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও সম্পূর্ণ ৪টি ব্রিজ এবং আংশিক ২৩টি ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।






অন্যদিকে, টিউওবেল ১৫ টি এবং ২.৫ কি.মি. আংশিক নদীর বাঁধ ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া জে’লায় ৪০০ মে.টন জির চাল, নগদ ১৩ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। অ’পরদিকে, শিশু খাদ্য ২ লাখ টাকা এবং গো-খাদ্য ২ লাখ টাকা এবং শুকনা প্যাকেট ৬ হাজার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।






এগুলো বিতরণ কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।টাঙ্গাইল জে’লা কৃৃষি বিভাগ সূত্র জানায়- প্রথম দফায় ব’ন্যায় টাঙ্গাইলে ৩ হাজার ৮’শ ৩৯ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ২৭ হাজার ২৩৩ জন। আর দ্বিতীয় দফায় ব’ন্যায় এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ২’শ ২৬ হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত নিমজ্জিত হয়েছে।






এরমধ্যে বোনা আমন, রোপা আমন (বীজতলা), আউশ সবজি, তিল রয়েছে।এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইস’লাম বলেন, জে’লায় কয়েকটি নদীর পানি কমলেও কিছু কিছু নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে আগামী ২১ জুলাই থেকে পানি আরো বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এছাড়া ২৫ এবং ২৬ তারিখ পানি আরো অধিক বৃদ্ধি পেয়ে ব’ন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হওয়ার আশ’ঙ্কা রয়েছে বলে তিনি জানান।





