কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতার শিকার না হলে ট্রায়াল শেষে আগামী ডিসেম্বরেই গ্লোবের ভ্যাকসিন বাজারে আনতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান ড. আসিফ মাহমুদ। আজ শুক্রবার গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।






ড. আসিফ মাহমুদ বলেন, আম'রা আপাতত ছয় থেকে আট সপ্তাহ সময় নিচ্ছি আমা’দের রেগুলেটেড এনিমেল ট্রায়াল করতে। এরপর আম'রা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রটোকল বিএমআরসিতে (বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ) জমা দেব। বিএমআরসির অথোরাইজেশন বোর্ড আমা’দের অনুমতি দিলে সিআরও দিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যাব।






দেশে তৈরি ভ্যাকসিন নতুন অভিজ্ঞতা জানিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, এরপর আম'রা মার্কেট অথোরাইজেশনের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছে যাব। এখানে কিছু বিষয় আছে, যেগুলো আমা’দের হাতের নাগালে নেই। যেহেতু এই ভ্যাকসিনটা আমা’দের দেশে প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছে, সেহেতু এটা সবার জন্যই নতুন একটি অভিজ্ঞতা।






ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের তৈরি ভ্যাকসিন বাজারে আনা সম্ভব জানিয়েছে ড. আসিফ বলেন, এখানে পদে পদে যেসব প্রতিবন্ধকতা আসবে, সেগুলো আম'রা যদি একে একে সমাধান করতে পারি, তাহলে আমি আশা করছি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই করো’না ভা’ইরাসের এই ভ্যাকসিন আম'রা বাজারে আনতে পারব।






প্রসঙ্গত, দেশে প্রথমবারের মতো কোভিড-১৯ (করো’নাভা’ইরাস) রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করার দাবি করে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড।






প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ধাপে এনিমেল মডেলে ট্রায়াল দিতে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ সময় দরকার হবে। পরে এটি মানব শরীরে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য কোম্পানিটি সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাইবে। অনুমতি পেলে তারা ট্রায়ালে যাবে।





