করো’নাভাই’রাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ মোকাবিলায় ঝুঁ’কিতে থাকা ঢাকা মহানগরীর কয়েকটি জায়গায় ছোট আকারে রেড জোন ঘোষণা করে ছুটি আসছে, জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।






আজ গণমাধ্যমকে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। গত ২১ জুন মধ্যরাতে ১০ জে’লার ২৭টি এলাকা ও পরের দিন ২২ জুন ৫ জে’লার ১২ এলাকা ও গতকাল ২৩ জুন ৪ জে’লার ৭ এলাকা রেড জোন হিসেবে তালিকাভুক্ত করে সেখানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।






করো’না আ’ক্রান্ত সবচেয়ে বেশি ঢাকায় থাকলেও সেখানে এখনও রেড জোন ঘোষণা করা হয়নি। তবে পরীক্ষামূলকভাবে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারকে রেড জোন ঘোষণা করে সেখানে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।






ঢাকায় রেড জোন ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইল জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ অফিস রয়েছে। এখানে অনেক শিল্প-কারখানা আছে। আবার ম্যানেজমেন্টও ঠিক করতে হচ্ছে। আশা করছি, এখানেও বেশ কয়েকটি জায়গাতে ছোট ছোট আকারে রেড জোন ঘোষণা করা হবে। তালিকা পেলেই আম’রা ছুটি ঘোষণা করব।’






তিনি বলেন, ‘প্রশাসনিক বিষয় হওয়ায় রেড জোনের তালিকা ও ছুটির ঘোষণার আদেশ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে হচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এর সঙ্গে ইনভলব থাকে, তারা যাচাই-বাছাই করে থাকে।’






রেড জোন ঘোষণার প্রক্রিয়া তুলে ধরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমে সিভিল সার্জন তার এলাকা অ্যাসেস করবেন। এরপর জে’লা প্রশাসক ও পু’লিশ সুপারের সঙ্গে আলাপ করবেন। একই সঙ্গে সংসদ সদস্যসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ করবেন। সিদ্ধান্তে আসার পর তারা স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমতি চাইবে। স্বাস্থ্য অধিদফতর অনুমতি দিলে তারা আমা’দের কাছে আবেদন জানাবে ছুটি ঘোষণার জন্য।’






‘এ ছাড়া সেখানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজ আছে, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাজ থাকতে পারে। তখন সমন্বিতভাবে একটি কমিটি তৈরি করে রেড জোন বাস্তবায়ন করা হয়’, বলেন ফরহাদ হোসেন।






করো’না মোকাবিলায় বেশি আ’ক্রান্ত এলাকাকে রেড (লাল), অ’পেক্ষাকৃত কম আ’ক্রান্ত এলাকাকে ইয়োলো (হলুদ) ও একেবারে কম আ’ক্রান্ত বা আ’ক্রান্তমুক্ত এলাকাকে গ্রিন (সবুজ) জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে সরকার। রেড জোনকে লকডাউন করা হচ্ছে, সেখানে থাকছে সাধারণ ছুটি। ইয়োলো জোনে যেন আর সংক্রমণ না বাড়ে সেই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। সতর্কতা থাকবে গ্রিন জোনেও।