
জামালপুরের ইস’লামপুরে পার্থশী ইউপির দক্ষিণাঞ্চলের ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ ঢেংগারগড়-খলিশাকুড়ি-বামনা সড়ক মেরামত না করায় মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় জহির উদ্দিন, সুলতানা পারভীন ও লিয়াকত আলীসহ অনেকে জানান, রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেননি।
তাদের অ’ভিযোগ, প্রতি বছর গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মসূচি (টিআর-কাবিটা) প্রকল্পের লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ আসলেও সিংহভাগই চলে যায় নিজেদের পকে’টে।
খলিশাকুড়ি গ্রামের ইম'রান হোসেন বলেন, চেয়ারম্যানের বাড়ি ইউনিয়নের উত্তরাঞ্চলে হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ করছেন ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাস্তাটিতে অসংখ্য ছোট বড় গর্ত হয়ে সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। যানবাহন তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাচলেও চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় পথচারীদের।
এ রাস্তায় প্রতিদিন দর্জিপাড়া, সুরেরপাড়, বামনা, ছোট দেলিরপাড়, ঘোনাপাড়া, পূর্ব বামনা ও গুঠাইলসহ ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ এবং ১৯০ বছরের ঐতিহ্যবাহী ঢেংগারগড় নুরুল হুদা আলিয়া মাদরাসা,
শিমুলতলা টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ, ঢেংগারগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বজলুল হক উচ্চ বিদ্যালয়, আছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্তত ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী চলাচল করে থাকেন।
চেয়ারম্যান ইফতেখার আলম বাবলু বলেন, ‘আমি ওই রাস্তার বরাদ্দ নিয়ে খেয়ে ফেলিন। নিজের টাকায় ৫০টি রাস্তা মেরামত করেছি। এখন আর সম্ভব না। আপনারা ওই রাস্তা নিয়ে বেশি মাতামাতি করতেছেন।