এইতোমাত্র কিছুদিন হলো আম্ফানের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেল বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি শহর। সেই প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের রেশ কাটতে না কাটতেই হাজির হয়েছে আরেকটি। আজকে ভারতের মহারাষ্ট্র ও গুজরাট উপকূলে আঘাত হানতে পারে গ্রীষ্মকালীন এই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘নিসর্গ’। ভারতের মহারাষ্ট্র উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড়






‘নিসর্গ’। আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়টি স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ১টার দিকে মহারাষ্ট্র উপকূলে আঘাত হানে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির তথ্যানুযায়ী, প্রায় ১০০ বছরেরও বেশি সময় পর মুম্বাই সংলগ্ন এলাকায় আছড়ে পড়ল কোনো ঘূর্ণিঝড়। এর ফলে মুম্বাই ও এর আশপাশের এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি






এবং ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এরইমধ্যে থানে, রায়গড়, রত্নগিরি এবং সিন্ধুদুর্গ এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মুম্বাইয়েও জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। ঘূর্ণিঝড়টির গতিবিধির দিকে গোয়া এবং মুম্বইয়ে থাকা ডপলার ওয়েদার রাডারের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে লক্ষ্য রাখা হচ্ছিল। এরইমধ্যে মুম্বইয়ের উপকূল থেকে সাধারণ






মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মহারাষ্ট্র ও গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন ও তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। সাধারণ মানুষদের লোকালয়ে আসা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মহারাষ্ট্র এবং গুজরাট উপকূলবর্তী সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৩০টি দল নামা’নো হয়েছে। প্রতিটি






দলে রয়েছেন ৪৫ জন করে কর্মী। অ’তিরিক্ত ৫টি দল পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে গুজরাটের পক্ষ থেকে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের তরফে বলা হয়েছে, ধস, ভা’রি বৃষ্টি বা গাছ উপড়ে সম্ভাব্য ক্ষতির মোকাবিলায় দল তৈরি করা হয়েছে”। মহারাষ্ট্রের সচিবালয়ে একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে এবং সারাক্ষণ সেটি খোলা থাকবে।






সমন্বয় রাখতে বলা হয়েছে সেনাবাহিনী, বায়ুসেনা, নৌসেনা এহং আবহাওয়া দফতরকে। মুম্বইয়ে তিনটি এনডিআরএফ দল মোতায়েন করা হয়েছে, দুটি পালঘর এবং রায়গড়, রত্নগিরি ও সিন্ধুদুর্গে একটি করে বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।