সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কোনো মূহুর্ত দেখা থেকে আর বঞ্চিত থাকার দিন শেষ। কোনো কিছু কারোর নজরে এলে তা স্মার্টফোনে রেকর্ড করার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেই ভাইরাল।
তার উপর যদি সেই জিনিস হয় দুর্লভ তবে তা আরও তাড়াতাড়ি ভাইরাল হয়। প্রযুক্তি উন্নত হওয়ার কারণে এখন পাল্টেছে মানুষের চাহিদা। অবসর সময় এখন বন্দী মুঠোফোনে।
আর সেই মুঠোফোন এনেছে সোশ্যাল মিডিয়ার মতন এমন এক প্ল্যাটফর্ম যা আমা’দের দিয়েছে আনন্দ। আম'রা সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান ধরনের ভিডিও কিংবা ছবি বা কারোর গাওয়া গান রোজই ভাইরাল হতে দেখি।
তার মধ্যে কিছু জিনিস যেমন আমা’দের আনন্দ দেয় আবার অবাকও করে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এমন এক ভিডিও যা আমা’দের যেমন অবাক করেছে তেমনি আনন্দ দিয়েছে।
এমন এক দুর্লভ জিনিস ওই ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যা দেখে অনেকেই অবাক। আসামের তিনসুকিয়া জে’লার মাগুরি মোটাপুং বিলে একসপ্তাহের কিছু বেশি সময় ধরে দেখা গিয়েছে একটি বিরল প্রজাতির মান্ডারিন হাঁস।
এই হাঁস আসামের এই একই স্থানে দেখা গিয়েছিল ১৯০২ সালে। তারপর এত বছর বাদে ফের তা দেখা গিয়েছে। আর হাঁসটির দেখা পাওয়ার পর থেকেই ঘটনাটি ভাইরাল।
জানা গিয়েছে, ট্যুর গাইড মাধব গোগই গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি হাঁসটিকে দেখতে পায়। তিনসুকিয়া জে’লার বাসিন্দা পাখি গাইড বিনন্দ হাতিবরুয়া জানান, তিনি যখন শুনলেন মাধব গোগই হাঁসের দেখা পেয়েছে তখন তা তিনি বিশ্বাস করেননি।
এরপর তিনি সেখানে উপস্থিত হয়ে পুরো ঘটনাটি চাক্ষুষ করেন। হাঁসটি দেখে তিনি এত আনন্দিত ছিলেন যে অ’পর ট্যুর গাইড মাধবকে জড়িয়ে ধরেন। গত ২০২০ সালে ওই অঞ্চলে প্রাকৃতিক গ্যাসের কূপে বিস্ফোরণ হয়।
পাখি ট্যুর গাইড বিনন্দ আরও জানান, এই হাঁস আসামের ওই অঞ্চলে শেষ দেখা গিয়েছিল ১৯০২ সালে। এত বছর পর ফের দেখতে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান তিনি। ম্যান্ডারিন হাঁস দেখতে খুবই সুন্দর ও রংবেরঙের। বন বিভাগের প্রাক্তন যুগ্মসচিব আনোয়ারউদ্দিন চৌধুরি জানান, এই হাঁস খুবই বিরল প্রজাতির। তার ডানা দুটি কমলা রং-এর এবং গোটা শরীর নানান রং-এ মোরা৷