ক’রোনাভা’ইরাসেের ভ’য়াল থাবায় বি’পর্যস্ত দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। যার কারণে শর্তসাপেক্ষে আগামী ১ জুন থেকে অর্থনৈতিক কর্মকা’ণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের পরিধি আরো বাড়ানো হবে। এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান বা শিল্পকারখানা এখনও বন্ধ রয়েছে, সেগুলোর কার্যক্রমও চালু করা হবে। একই সঙ্গে ক’রোনা ভাই’রাসের বিস্তার ঠে’কাতে এবং কর্মীদের স্বা’স্থ্য সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে।






ঈদের পরেই এ বি’ষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা গেছে। এর আওতায় রয়েছে- শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কারখানা, প্রধান ও আঞ্চলিক অফিস, ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটর চ্যানেল, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্রঋ’ণ দানকারী প্রতিষ্ঠান, সব ধরনের বন্দরের কার্যক্রম, পণ্য খালাস ও পরিবহন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সব ধরনের কর্মকা’ণ্ড।






অর্থনৈতিক কর্মকা’ণ্ড চালু রাখার স্বার্থে এখন আর সব কিছু একসঙ্গে বন্ধ রাখা হবে না। ক’রোনা ভাই’রাস বিস্তারের ঝুঁ’কি বিবেচনায় নিম্ন, মাঝারি ও উচ্চ ঝুঁ’কিপূর্ণপ্রবণএলাকাগুলোকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হবে।






তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পর্যটন খাত এখনই উন্মুক্ত করা হবে না। সম্প্রতি স’রকারের উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর আলোকে আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু করার দিকে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে।






সূত্র জানায়, যেহেতু এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো হবে, সে কারণে কর্মীদের যাতায়াতের জন্য সীমিত আকারে গণপরিবহন চালুর বি’ষয়টিও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তবে এ খাতে স্বা’স্থ্যবিধি মানার বি’ষয়ে ক’ঠোরতা আরোপ করা হবে।






নিম্নঝুঁ’কি এলাকায় সতর্কতার সঙ্গে সব কার্যক্রম চা’লানো হবে। মাঝারি ঝুঁ’কিপূর্ণ এলাকায় আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি কার্যক্রম সীমিত করা হবে। উচ্চ ঝুঁ’কিপূর্ণ এলাকায় লকডাউন বা আংশিক কার্যক্রম চা’লানো হবে। বাকি এলাকা খুলে দেয়া হবে। এ নীতিতে আগামী ১ জুন থেকে অর্থনৈতিক কর্মকা’ণ্ড সচল করার উদ্যোগ নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।






আগামী ১ জুন থেকে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোও কাজ শুরু করবে আরও সক্রিয়ভাবে। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যেই ক্ষুদ্রঋ’ণ দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) নির্দেশনা জারি করেছে। তারা স্বা’স্থ্যবিধি মেনে সব ধরনের কাজই চালু করার নির্দেশনা দিয়েছে।






ইতোমধ্যে প্রায় সব ধরনের শিল্পকারখানা খোলা হয়েছে। যেগুলো এখনও খোলা হয়নি, সেগুলো ১ জুন থেকে খুলে দেয়া হবে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে গ্রামীণ হাটবাজার, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, তাঁত শিল্পসহ অর্থনৈতিক পাওয়ার হাউস হিসেবে পরিচিতি (পণ্য উৎপাদন, দোকানপাট, পণ্যের সরবরাহ, খেয়াঘাট) সব ধরনের কার্যক্রম খুলে দেয়া হবে। কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা দিতে স’রকারের উচ্চপর্যায় থেকে সংশ্লিস্ট সব পক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।






দেশে এখনও ক’রোনা ভাই’রাসের বিস্তার ঘটে যাচ্ছে। গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে অঘোষিত লকডাউন চলছে। এতে বিস্তার ঠেকানো যায়নি। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে অর্থনৈতিক কর্মকা’ণ্ড স্থবির থাকায় এখন সর্বত্রই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এ কারণে স’রকার এখন বিধিনিষেধ আরোপ করে সব খাতের অর্থনৈতিক কর্মকা’ণ্ডই চালু করতে চায়।






এদিকে স্বা’স্থ্য অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন ম’ন্ত্রণালয় ও স’রকারি-বেস’রকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক’রোনাভা’ইরাসে প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে একটি দিকনির্দেশনা পাঠিয়েছে। এতে বাসা, অফিস, মার্কেট, হাটবাজার, দোকানপাট, শিল্পকারখানা, গণপরিবহন, পর্যটন স্পট, ব্যাংক, বীমা, ক্ষুদ্রঋ’ণ প্রতিষ্ঠান, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, হাসপাতা’ল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপাসনালয় এসব খাতের কোথায় কী করণীয় তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেছে। এর মধ্যে খাতওয়ারি ৭ থেকে ১৭ দফা নির্দেশনা রয়েছে। এগুলো পালন করে কর্মকা’ণ্ড চালাতে হবে।






এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- প্রতিষ্ঠান খোলার আগে ম’হামা’রী প্রতিরোধী সামগ্রী যেমন- মাস্ক, জী’বাণুমুক্তকরণ সামগ্রী সংগ্রহ করতে হবে, তৈরি করতে হবে আপৎকালীন পরিকল্পনা। সবকিছু বিভিন্ন ইউনিটে ভাগ করে দিতে হবে, সব ইউনিটের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে, বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবেলায় কর্মীদের প্রশিক্ষণকে জো’রদার করতে বলা হয়েছে।