ভোর চারটায় উঠে বাবাকে গোয়ালঘরের কাজে সাহায্য করা। কখনও কখনও অন্যের বাড়িতে দু’ধ পৌঁছে দিয়ে আসা। এই সব করেও সোনাল শর্মা লেখাপড়া করেছেন।
প্রথম বার বসে রাজস্থান জুডিসিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা পাশ করেছিলেন। এ বার পোস্টিং পাবেন তিনি। সেশনস আ’দালতে প্রথম শ্রেণির ম্যা’জিস্ট্রেট হিসাবে।
তিনি কোনও দিন কোচিং সেন্টার বা টিউশনেও যেতে পারেননি। সাইকেল চা’লিয়ে আগে আগে কলেজ গিয়ে লাইব্রেরিতে তৈরি করেছেন নোট। তা দিয়েই চলত পড়াশোনা।
এই ভাবে মোহনলাল সু’খোদিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাল ফল করায় সোনার মেডেলও পেয়েছেন সোনাল। তার জেরেই সম্প্রতি পোস্টিং পেলেন এই সোনাল।
পড়াশোনার পাশাপাশি বাবার কাজে সাহায্য করেই বড়ে হয়েছেন সোনাল। তিনি বলেছেন, ”স্কুলে যেতাম যখন, অধিকাংশ সময় চপ্পলে গোবর লেগে থাকত। গোয়ালার মে’য়ে পরিচয় দিতে বন্ধুদের সামনে খুব লজ্জা করত। কিন্তু এখন আমি পরিবারের জন্য গর্বিত।”